মালির সাংবিধানিক আদালত দেশটির সাবেক জান্তা প্রধান আসিমি গোইতাকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব দিয়েছেন।
ক্ষমতা দখলের দুই দিন বাদে কর্নেল গোটা নিজেই নিজেকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন। এবার পেলেন আদালতের স্বীকৃতি।
দেশটিতে গত ৯ মাসে এটি দ্বিতীয় অভ্যুত্থান। প্রথমবারের অভ্যুত্থানের সময়ও তিনি নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
শুক্রবার আদালত বলেছে, প্রেসিডেন্ট পদ খালি হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এর আগে দেশটির নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টকে গ্রেপ্তারের পর তারা পদত্যাগে বাধ্য হন।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ প্রেসিডেন্ট বাহ নদাউ ও প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেপ্তারের এবং তাদেরকে ক্ষমতাচ্যুত করার ‘কঠোর নিন্দা’ এবং দেশটির বেসামরিক সরকারের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। তবে সেখানে এ ব্যাপারে শান্তিমূলক পদক্ষেপ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়, মালিতে গত বছরের আগস্টে এক সামরিক অভ্যুত্থানের পর বেসামরিক শাসনব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে কাজ করছিলেন প্রেসিডেন্ট এনদাও ও প্রধানমন্ত্রী উয়ানে। সেই সামরিক অভ্যুত্থানের নেতা ছিলেন কর্নেল আসিমি গোইতা। এক বছরের কম সময়ের মধ্যে আবার সামরিক অভ্যুত্থান ঘটল পশ্চিম আফ্রিকার দেশটিতে।
সোমবারের সামরিক অভ্যুত্থানের কয়েক ঘণ্টা আগেই অন্তর্বর্তী সরকারের মন্ত্রিসভায় এক রদবদল হয়। গোইতার অভিযোগ, তার সঙ্গে এ বিষয়ে কোনো পরামর্শ করা হয়নি। এই রদবদলে দুই সেনা কর্মকর্তা চাকরি হারিয়েছিলেন।
গোইতা বলেন, প্রেসিডেন্ট বাহ এনদাও ও প্রধানমন্ত্রী মোখতার উয়ানে তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন এবং নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তরকে বানচালের চেষ্টা করেছেন।