জন্মদিন কেমন কেটেছে জানতে চাইলে দেশ রূপান্তরকে চঞ্চল বলেন, ‘সারাদিন বেশ ভালোই কেটেছে। ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের শুভেচ্ছায় সিক্ত হয়েছি। এই মুহূর্তে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছি। এত এত ভালোবাসা পাবো তা ভাবিনি। সবার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।’
চঞ্চল চৌধুরী পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার নজিরগঞ্জ ইউনিয়নের কামারহাট গ্রামে ১৯৭৪ সালের ১ জুন জন্মগ্রহণ করেন। গ্রামের স্কুল থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক এবং রাজবাড়ী সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিকে পড়াশোনা করেন। উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করার পর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় ভর্তি হন। ছোটবেলা থেকেই তার গানবাজনা, আবৃত্তি আর নাটকের প্রতি নেশা ছিল। পরে তার মঞ্চনাটকের প্রতি একটা আগ্রহ সৃষ্টি হয়। মামুনুর রশীদের আরণ্যক নাট্যদলে কাজ করার মধ্য দিয়েই অভিনয় জীবনের শুরু হয়। মামুনুর রশীদের লেখা ‘সুন্দরী’নাটকে ছোট একটি চরিত্রে তিনি প্রথম অভিনয় করেন। তিনি বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র বাজানো, অভিনয়, গান, ছবি আঁকা এসব কিছুতেই সমান পারদর্শী।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ‘তাল পাতার সেপাই’ নাটক দিয়ে দর্শকের কাছে পরিচিত হয়ে ওঠেন এ মঞ্চ অভিনেতা। তারপর থেকেই তিনি মঞ্চের পাশাপাশি বিরামহীন কাজ করে যাচ্ছেন টিভি নাটকে। তিনি ২০০৯ সালে গিয়াস উদ্দিন সেলিম পরিচালিত ‘মনপুরা’ ছবিতে এবং মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত টেলিভিশন ছবিতে অভিনয় করে প্রশংসিত হন। ‘আয়নাবাজি’ ও সর্বশেষ ‘দেবী’ সিনেমাতে দর্শকের মন জয় করেছেন চঞ্চল। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি একজন গায়কও। তার কণ্ঠে ‘বকুল ফুল বকুল ফুল’, ‘যুবতী রাধে’সহ আরও বেশ কিছু লোকসংগীত তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে।