হাসপাতালে ৫৩ দিন চিকিৎসা নেওয়ার পর গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।
শনিবার সন্ধ্যায় এভারকেয়ার হাসপাতালের কেবিন থেকে তাকে বাসভবনে নেওয়ার কথা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘চেয়ারপারসনের চিকিৎসায় এভারকেয়ার হাসপাতাল গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক সাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা তার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা শেষে ছাড়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তারা প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন। সেভাবে তাকে বাসায় টেককেয়ার করা হবে। চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা বাসায় গিয়ে দেখে আসবেন।’
গত ২৭ এপ্রিল সিটি স্ক্যান করার জন্য খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর তার শ্বাস কষ্ট শুরু হলে ৩ মে বিকেলে তাকে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেওয়া হয়। এরপর ৩ জুন তাকে সিসিইউ থেকে কেবিনে নেওয়া হয়।
গত ১১ এপ্রিল সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী করোনা শনাক্ত হয়। এরপর ২৭ এপ্রিল তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৮ মে তৃতীয় দফা নমুনা পরীক্ষায় তার করোনা ফল নেগেটিভ আসে।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বোর্ডের সদস্যরা তাকে বিদেশ নেওয়ার সুপারিশ করেছিলেন। এরপর পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে বিদেশ নেওয়ার অনুমিত চেয়ে আবেদন করা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সরকার খালেদা জিয়াকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেয়নি।
এদিকে করোনামুক্ত হলেও বেশ কিছু জটিলতায় ভুগছেন খালেদা জিয়া। কিডনি, ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা দেখা দিলে তাকে সিসিইউতে রেখেই চিকিৎসা করানো হয়।