Free Porn
xbporn

https://www.bangspankxxx.com
Friday, September 20, 2024
HomeScrollingদেশে এখন শান্তি বিরাজমান শেখ হাসিনা দেশকে এই শান্তি এনে দিয়েছেন: মতিয়া...

দেশে এখন শান্তি বিরাজমান শেখ হাসিনা দেশকে এই শান্তি এনে দিয়েছেন: মতিয়া চৌধুরী

অনলাইন ডেস্ক:

আগামী জাতীয় নির্বাচনে এসে জনপ্রিয়তা যাচাই করার জন্য বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, সামনে নির্বাচন। বিএনপিকে বলব, নির্বাচনে এসে নিজেদের ভাগ্য পরীক্ষা করুন। দেখুন, জনগণ ভোট দেয় কিনা? জনগণ ভোট দিলে ক্ষমতায় যাবেন। আওয়ামী লীগ কখনও জোর করে ক্ষমতায় থাকবে না। জনগণ ভোট দিলে থাকবে, না দিলে থাকবে না।

শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মতিয়া চৌধুরী এসব কথা বলেন। ‘দেশব্যাপী বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস-নৈরাজ্য, হত্যা-ষড়যন্ত্র, অপরাজনীতি ও তাণ্ডব’-এর প্রতিবাদে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

মতিয়া চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ বিএনপির মতো ক্যু করে ক্ষমতায় যেতে চায় না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সংসদে বলেছেন, জনগণ ভোট দিলে আছি, না দিলে নাই।

বিদেশিদের প্রতি ইঙ্গিত করে বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, “বিএনপিকে বলব, সন্ত্রাস আর নৈরাজ্য বন্ধ করুন। আপনাদের মুরব্বিদের ওপর ভরসা করে, তাদের কাছে ধরনা দিয়ে কাজ হবে না। অর্থনৈতিক মন্দার ফলে তারা (বিদেশি মুরব্বি) নিজেদের নিয়েই এখন ‘চাচা আপন প্রাণ বাঁচা’ অবস্থায়। তারা কেউ আপনাদের জামিনদার হবেন না। কাজেই ষড়যন্ত্রের পথ পরিহার করে গণতন্ত্রের পথে আসুন। গণতন্ত্রের চর্চা করুন।”

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠনের ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ কর্মসূচির বিপরীতে ঘোষিত আওয়ামী লীগের দুই সহযোগী সংগঠনের শান্তি সমাবেশকে ঘিরে রাজধানীতে আরেক দফা শোডাউন করেছে সরকার সমর্থকরা। ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিট থেকে দুই সহযোগী সংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী ব্যানার-ফেস্টুন ও মিছিলসহকারে সমাবেশে জড়ো হন। ফলে সেটি জনসমাবেশে পরিণত হয়। নেতাকর্মীরা মুহুর্মুহু স্লোগানে গোটা এলাকা মুখর রাখেন। একই দিন ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ ঘিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সতর্ক অবস্থানে ছিলেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

শান্তি সমাবেশে মতিয়া চৌধুরী আরও বলেন, আজকে বিএনপি কথায় কথায় গণতন্ত্রের কথা বলে। অথচ বিএনপির আমলে ছিল ‘কারফিউ গণতন্ত্র’। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান যেদিন মারা যান, সেদিনও দেশে কারফিউ গণতন্ত্র ছিল। ভাতের জন্য মানুষ হাহাকার করত। কিন্তু গণতন্ত্র ছিল না বলে মানুষের কথা বলার অধিকারও ছিল না।

তিনি বলেন, দেশে এখন শান্তি বিরাজমান। শেখ হাসিনা দেশকে এই শান্তি এনে দিয়েছেন। বিএনপি আজও সেই শান্তি বিনষ্ট করার জন্য নতুন করে ষড়যন্ত্র করছে। তারা নানাভাবে নির্বাচন বানচাল করতে চাইছে। তার বিরুদ্ধেই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ আজ শান্তি সমাবেশ করছে।

দেশের উন্নয়ন ও মানুষের কল্যাণে আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের তথ্য তুলে ধরে সংসদ উপনেতা বলেন, যেখানে মৃত্যুর দুয়ার থেকে আল্লাহতায়ালা শেখ হাসিনাকে রহমতের চাদর দিয়ে রক্ষা করছেন, সেখানে বিএনপির বুলেট-বোমায় অন্তত শেখ হাসিনা ভয় পান না। যুবলীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগ শেখ হাসিনার ভ্যানগার্ড অগ্রগামী শক্তি। তারাও সেই ভয় পাবে না।

তিনি বলেন, বিএনপিকে নৈরাজ্য-সন্ত্রাস ও ষড়ষন্ত্রের পথ পরিহার করে শান্তির পথে আসতে হবে। না হলে শেখ হাসিনার আন্দোলনের বর্শাফলক যুবলীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগের ধারেই তারা ক্ষতবিক্ষত হয়ে যাবে।

সভাপতির বক্তব্যে স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন বানচালে বিএনপি-জামায়াত ষড়যন্ত্রের পথে হাঁটছে। তারা আন্দোলনের নামে দেশে সন্ত্রাস-নৈরাজ্য ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে চাইছে। তাদের প্রতিহত করতে প্রস্তুত বঙ্গবন্ধুর সৈনিকরা।

যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, বিএনপি দেশের শত্রু, মানুষের শত্রু। তারা দেশ ধ্বংসের চক্রান্তকারী দল। এই সন্ত্রাসী সংগঠনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগই যথেষ্ট।

স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আফজালুর রহমান বাবু বলেন, আগামী নির্বাচন বানচালে বিএনপি-জামায়াত আজ সারাদেশে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। তাদের বলব, ভালো হয়ে যান। না হলে আপনাদের বুড়িগঙ্গায় নিক্ষেপ করা হবে।

সমাবেশে আয়োজক দুই সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতাদের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন রফিকুল ইসলাম, নবী নেওয়াজ, প্রকৌশলী মৃণাল কান্তি জোদ্দার, তাজউদ্দিন আহমেদ, জসিম মাতুব্বর প্রমুখ।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ‘তারুণ্যের সমাবেশ’কে ঘিরে সম্ভাব্য সন্ত্রাস-নৈরাজ্য মোকাবিলায় ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসংলগ্ন হাকিম চত্বর ও মিলন চত্বরে সতর্ক অবস্থান নিয়েছিল। দুপুরের পর থেকেই মিছিল নিয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয়, ঢাবি ও বিভিন্ন হল শাখার নেতাকর্মীরা সেখানে জড়ো হতে শুরু করেন। বিকেল নাগাদ বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীর ভিড় দেখা গেছে।

সতর্ক অবস্থানে নেতৃত্ব দিয়েছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, ঢাবি শাখা সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত। এ সময় নেতাকর্মী দফায় দফায় স্লোগানে মুখর রাখেন গোটা ঢাবি ক্যাম্পাস। গানের আসরও বসান ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments