মো. নূর ইসলাম নয়ন, দিনাজপুর সংবাদদাতা।।
কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে দিনাজপুরের অন্যতম আমবাড়ী পশুর হাটে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ও মুখে মাস্ক পরিধান করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বালাই নেই। গবাদিপশু ক্রয় ও বিক্রয়কারিদের চলাচল স্বাভাবিক সময়ের মতো ছিল। নেই কোন সামাজিক দূরত্ব। অধিকাংশ ক্রেতা বিক্রেতাদের মুখে নেই মাস্ক, শরীরের সাথে শরীর লাগিয়ে হাটে চলাচল করছে। শুক্রবার এ অঞ্চলের বৃহৎ এই আমবাড়ী পশুর হাটের এ অবস্থা দেখা যায়। করোনা ঝুঁকিতে সবাই। যদিও হাট ইজারাদারসহ বিভিন্ন বিভাগ চেষ্টা করেছেন এই সব মানানোর।
হাটে প্রবেশের সময় মাস্ক পরিধান করার কথা বলছেন, মাইকিং করা হয়েছে, হাত ধোয়ার জন্য ব্যবস্থাসহ তাপমাত্রা চেকআপেরও ব্যবস্থা করা হলেও কিছু মানুষের অসহযোগিতায় এই অবস্থা দেখা গেছে। অনেকে মাস্ক পড়ে হাটে এলেও পরে তা পকেটে রেখে দিয়েছে। হাটে লোক সমাগম অনেক হলেও সেই তুলনাই মুখে মাস্ক দেখা যায়নি। অন্যদিকে, হাটে মানুষের সমাগম যথেষ্ট থাকলেও কেনা-বেচা কমছিল বলে জানায় হাট ইজারাদার।
আমবাড়ী হাট ইজারাদার আবেদ আলী জানান, কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ও মুখে মাস্ক পরিধান করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার সবরকম ব্যবস্থা করা হয়েছে এই হাটে। এরপরেও অনেকে মানতে চাইছে না।
তিনি আরও জানান, পশু কেনা-বেচা গত বছরের চেয়ে শতকরা ৪০ ভাগ কম হচ্ছে। এ ছাড়াও দেশের অন্য জায়গা থেকে আসা ক্রেতাদের সংখ্যা নেই বললেই চলে। যেহেতু দেশের অনেক জায়গায় বন্যা এবং করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে এই পরিস্থিতি হয়েছে। ক্রেতা কম থাকায় বড় গরু নেয়ার ক্রেতা পাওয়ায় কঠিন হয়েছে। আর ক্রেতা কম থাকায় এবার গত বছরের চেয়ে গরুর দামও কম বলছেন ক্রেতারা। লকডাউনে ২ মাস বন্ধের পর হাটে পশুর কেনা-বেচা কম হওয়ায় আমার মত হাট ইজারাদাররাও চিন্তায় রয়েছে। লোকসানের আশঙ্কায় আছি। দিনাজপুরের আমবাড়ী পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করণের জন্য দিনাজপুর সিভিল সার্জন কিংবা স্থানীয় প্রশাসনের কোন তৎপরতাও লক্ষ্য করা যায়নি।
দিনাজপুরে পশুর হাটে কেনাবেচা কম, স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না কেউ
RELATED ARTICLES
Continue to the categoryRecent Comments
Hello world!
on