আইপিএলে ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের অধিনায়ক বিরাট কোহলির সঙ্গে তার স্ত্রী আনুশকা শর্মাকে জড়িয়ে যে ‘বেফাঁস’ মন্তব্য করেছেন সে ব্যাপারে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন সুনীল গাভাস্কার। ভারতের ক্রিকেট গ্রেট বলেছেন, তার মন্তব্য অপব্যাখ্যা করা হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব বনাম রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ম্যাচে লাইভ কমেন্ট্রিতে থাকা গাভাস্কারের মন্তব্য ঘিরে। ব্রডকাস্টিং চ্যানেলের হয়ে হিন্দিতে ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় কিংবদন্তি ক্রিকেটার বলেন- “ইনহোনে লকডাউন মে বাস আনুশকা কি গেন্দোঁ কি প্র্যাকটিস কি হ্যায়।” যার বাংলা করলে দাঁড়ায়- “কোহলি লকডাউনে শুধু আনুশকার বলেই অনুশীলন করেছেন।”
তবে ব্যক্তিগত পর্যায়ে কোহলির প্রতি গাভাস্কারের এমন মন্তব্যকে ভালো চোখে দেখছে না নেটিজেনরা। বিষয়টি নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন আনুশকাও।
ইনস্টাগ্রামে তিনি লিখেছেন- “‘মিস্টার গাভাস্কার আপনার মন্তব্য কুরুচিকর ছাড়া আর কিছুই নয়। কিন্তু আমি জানতে চাই একজনক ক্রিকেটারের খারাপ পারফরম্যান্সের জন্য তার স্ত্রী’কে দায়ী করে আপনি কীভাবে এমন একটি মন্তব্য করলেন? বছরের পর বছর ধরে ধারাভাষ্যের সময় আপনি ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত জীবন থেকে সব সময় বিরত থেকেছেন। আপনার কী মনে হয় না আমি বা আমাদেরও একই সম্মান প্রাপ্য ছিল? আমি নিশ্চিত আমার স্বামীর পারফরম্যান্স নিয়ে বলার জন্য আপনার কাছে অন্য অনেক বাক্য ছিল কিন্তু আপনার কী আমাকে টেনে আনাই একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল?”
এসব সমালোচনার মুখে এ ব্যাপারে মুখ খুলেছেন গাভাস্কার। তিনি বলেন, “তোমরা যদি শোনো আমার কমেন্ট্রি তাহলে দেখবে আকাশ এবং আমি হিন্দি চ্যানেলের হয়ে কমেন্ট্রি করছিলাম এবং আকাশ বলছিল লকডাউনে ক্রিকেটারদের সীমিত অনুশীলনের কথা। যে কারণে প্রথমদিকের ম্যাচগুলোতে ক্রিকেটারদের মধ্যে জড়তা কাজ করছে। রোহিত প্রথম ম্যাচে ঠিকঠাক বল স্ট্রাইক করতে পারেনি, ধোনি পারেনি, বিরাটও পারেনি। বেশির ভাগ ব্যাটসম্যানদের একই অবস্থা অনুশীলনের অভাবে।”
“এখানেই প্রশ্নটা ওঠে যে লকডাউনে বিরাট কোনো অনুশীলনের সুযোগ পায়নি। যেটুকু করেছে সেটা তাদের আবাসনে এবং আনুশকা তাকে বোলিং করেছিল। এটাই আমি বলেছি। আনুশকা ওকে বোলিং করছিল আমি শুধু এই কথাটা ব্যবহার করেছি অন্য কিচ্ছু না।”
“এখানে কীভাবে আমি আনুশকাকে দোষারোপ করলাম? কোথায় আনুশকার প্রতি শালীনতার মাত্রা অতিক্রম করলাম। ভিডিওতে যা দেখেছি আমি সেটাই বলেছি। যেটা ওদের কোনো প্রতিবেশী রেকর্ড করে ইন্টারনেটে আপলোড করেছিল। আমার বলার উদ্দেশ্য ছিল এটাই যে লকডাউনে কেউই পর্যাপ্ত অনুশীলনের সুযোগ পায়নি। কেউ যদি এটাকে বিকৃত করে তাহলে আমার কী করার আছে?”