মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারণ করে দিতে পারে এমন গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যগুলোতে ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং জো বাইডেনের তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে।
১২টি সুইং স্টেটের মধ্যে অ্যারিজোনায় এখনো ফলাফল আসেনি।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোলোরাডোয় আনুমানিক ৭৭ শতাংশ ভোট হিসাব করা হয়েছে। বাইডেন অনেক ব্যবধানে এগিয়ে। ৫৭.১ শতাংশ ভোট তার। ট্রাম্পের ৪০.৬ শতাংশ। ইলেকটোরাল ভোটও (৯টি) গেছে বাইডেনের পক্ষে।
ফ্লোরিডায় ৯১ শতাংশ ভোট গণনা করা হয়েছে। এখানে ট্রাম্প পেয়েছেন ৫১.৩ শতাংশ ভোট। বাইডেন ৪৭.৮ শতাংশ। এখানে ইলেকটোরাল ভোটের ফলাফল এখনো পাওয়া যায়নি।
জর্জিয়ায় আনুমানিক ৫৪ শতাংশ ভোট পড়েছে। ট্রাম্প পেয়েছেন ৫৫.৮ শতাংশ। বাইডেন ৪৩.১ শতাংশ। ইলেকটোরাল ভোটের ফলাফল এখনো পাওয়া যায়নি।
আইওয়াতে ট্রাম্প এগিয়ে। তিনি পেয়েছেন ৫৭.৫ শতাংশ ভোট। বাইডেন ৪১.৩ শতাংশ। শতভাগ ভোট হিসাব করলে বাইডেনে এগিয়ে যেতে পারেন। ইলেকটোরাল ভোটের ফলাফল এখনো পাওয়া যায়নি।
মেইনেও এগিয়ে ট্রাম্প। ৫১.৪ শতাংশ ভোট তার। বাইডেন ৪৫.৪ শতাংশ। ইলেকটোরাল ভোটের ফলাফল এখনো পাওয়া যায়নি।
মিশিগানেও ট্রাম্প এগিয়ে। ৫৫.৭ শতাংশ ভোট তার। বাইডেনের ৪২.৩ শতাংশ। ইলেকটোরাল ভোটের ফলাফল এখনো পাওয়া যায়নি।
নর্থ ক্যারোলিনায় বাইডেন-ট্রাম্প সমানে সমান। ৪৯.৪ শতাংশ করে ভোট পেয়েছেন দুজনে। ইলেকটোরাল ভোটের ফলাফল এখনো পাওয়া যায়নি।
ওহাইও-তে ট্রাম্প ৫২.০ শতাংশ ভোট পেয়ে এগিয়ে ট্রাম্প। বাইডেন ৪৬.৭ শতাংশ। ইলেকটোরাল ভোটের ফলাফল এখনো পাওয়া যায়নি।
পেনসিলভানিয়াতে ৫১.১ শতাংশ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন ট্রাম্প। বাইডেন ৪৬.০ শতাংশ। ইলেকটোরাল ভোটের ফলাফল এখনো পাওয়া যায়নি।
টেক্সাসেও এগিয়ে ট্রাম্প। পেয়েছেন ৫০.৮ শতাংশ ভোট। বাইডেন ৪৭.৯ শতাংশ। ইলেকটোরাল ভোটের ফলাফল এখনো পাওয়া যায়নি।
উইসকনসিনে ট্রাম্প এগিয়ে ৫১.৫ শতাংশ ভোটে। বাইডেন ৪৭.০ শতাংশ। ইলেকটোরাল ভোটের ফলাফল এখনো পাওয়া যায়নি।
ইলেকটোরাল ভোট কী: যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল নির্ভর করে মোট ৫৩৮ জন ‘ইলেক্টর’ বা নির্বাচকের ভোটের ওপর। প্রতিটি রাজ্যের জনসংখ্যার ভিত্তিতে এসব নির্বাচকের সংখ্যা নির্ধারিত থাকে।
যেমন, জনবহুল ক্যালিফোর্নিয়ার রয়েছে ৫৫ জন নির্বাচক, আবার বিরল জনসংখ্যার মন্টানার রয়েছে মাত্র ৩টি ভোট। জিততে হলে প্রয়োজন ন্যূনতম ২৭০ ইলেক্টোরাল ভোট। একটি রাজ্যে সবচেয়ে বেশি ‘জনপ্রিয় ভোট’ যিনি পাবেন, সে রাজ্যের নির্ধারিত সব ইলেক্টোরাল ভোট তার খাতায়ই জমা হবে। এ কারণে মোট ভোটের হিসাবে এগিয়ে থেকেও কোনো প্রার্থী পর্যাপ্ত ইলেকটোরাল ভোট পেতে ব্যর্থ হলে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন না।