ভিডিওটি ধারণ করে ‘মিডল ইস্ট আই’ নামে একটি সংবাদ সংস্থা। ভিডিওতে দেখা যায়, আবদেল-তাইফ দাঁড়িয়ে আছে ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত একটি ভবনের সামনে। তার সঙ্গে আরো কিছু শিশু আছে।
নিজের অসহায়ত্বের কথা জানাতে গিয়ে শিশুটি ধ্বংসস্তূপের দিকে সাংবাদিককে দেখিয়ে বলে, ‘ আমি সবসময় অসুস্থ থাকি। আমি জানি না। আপনি দেখুন আমি এ অবস্থায় কিছুই করতে পারছি না। আপনি আমার কাছ থেকে এ পরিস্থিতিতে কী আশা করেন? এগুলো আমি সাফ করব? আমার বয়স মাত্র ১০। আমি এই সমস্যার কোনো সমাধানই করতে পারব না’।
এ সময়ে তার মুখে অসহায়ত্ব ফুটে ওঠে। তার বিদীর্ণ হৃদয়ের প্রতিচ্ছবি হয়ে ওঠে মুখখানা।
সে বড় হয়ে চিকিৎসক হতে চায় বলেও জানায়। চিকিৎসক হতে পারলে সে আহত গাজাবাসীর সেবা করার ইচ্ছার কথা জানায়।
মেয়েটি বলতে থাকে, ‘এসব কিছু যখন আমি দেখি, আমি সত্যি সত্যি প্রতিনিদিন কাঁদি। আমি নিজেকে নিজে বলি, কেন আমাদরে এই নির্যাতন সহ্য করতে হচ্ছে? আমরা কী করেছি যে আমাদের সঙ্গে এমন আচরণ করা হবে? আমার পরিবার বলেছে তারা আমাদের স্রেফ ঘৃণা করে। তারা আমাদের মোটেও পছন্দ করে না কারণ আমরা মুসলিম’।
আবদেল-তাইফ বলে, আমরা এখানে অনেকে শিশু, তারা কেন আমাদের নিশ্চিহ্ন করে দিতে আমাদের দিকে মিসাইল ছুড়বে, এটা একদমই ঠিক নয়।
ভিডিওটি এক প্রথম দিনেই পাঁচ মিলিয়ন বার দেখা হয়।
জানা গেছে, ওই শিশুর পরিবারের সদস্যরা নিরাপদে আছেন। ওই ভিডিওর নিচে করা মন্তব্যে তার এক শিক্ষিকা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি লেখেন, আমার এ সুন্দর ছাত্রীর নাম নাদিন। সে ব্যাখ্যা করে বলছিল তার প্রতিবেশীর সঙ্গে কী ঘটেছিল। খোদাকে ধন্যবাদ, নাদিন আর তার পরিবার নিরাপদে আছে। সে যদিও এখনো ভীত, সন্ত্রস্ত।