দেশের নয়জনের শরীরে করোনার ভারতীয় ধরণ শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সন্দেহভাজন আক্রান্ত আরও কয়েকজনের দেহ থেকে নমুনা নিয়ে জিনোম সিকোয়েন্সিং চলছে।
রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বুলেটিনে সিডিসির লাইন ডিরেক্টর ও মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত নয়টি পেয়েছি একেবারে নিশ্চিত। তবে এখনও জেনোম সিকোয়েন্সিং চলছে। আমরা মনে করি জেনোম সিকোয়েন্সিংয়ের ফলাফল হাতে আসলে সংখ্যাটি বেড়ে যাবে।
করোনাভাইরাসের ভারতীয় এ ধরনটির আনুষ্ঠানিক নাম দেওয়া হয়েছে বি.১.৬১৭। মিউটেশনের কারণে এর তিনটি ‘সাব টাইপ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশে পাওয়া গেছে বি.১.৬১৭.২ ধরনটি।
ইতোমধ্যে অন্তত ৪৪টি দেশে করোনাভাইরাসের এ ধরনটি ছড়িয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ ধরনটিকে চিহ্নিত করেছে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’ (ভিওসি) হিসেবে।
ডা. নাজমুল বলেন, ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ করার ক্ষমতা অনেক বেশি। এ কারণে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে হবে। অর্থাৎ সঠিকভাবে মাস্ক পরা, হাত জীবাণুমুক্ত করা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেলা করা- এই কাজগুলো আমাদের আরও বেশি করে মেনে চলতে হবে। অন্যদের তা করার জন্য আরও বেশি করে মনে করিয়ে দিতে হবে। প্রয়োজনে আরও কঠোরভাবে পালন করতে হবে।