ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’র গতিপথ একই রকম থাকলে বাংলাদেশ উপকূলে ঝড়ের প্রভাব তেমন পড়বে না বলে আশা করছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান।
সোমবার সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি বিষয়ক এক সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘উত্তর-পশ্চিম অংশে সরাসরি ওডিশার দিকে এর গতিপথ। যদি এই গতিপথ একই রকম থাকে তবে বাংলাদেশে উপকূলে ক্ষতির কোনো প্রভাব হবে না বলে আমরা আশা করছি।’
তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপ সেইভাবে বাংলাদেশের ওপর আঘাত হানবে না। বাংলাদেশের ওপর দিয়ে হয়তো মেঘ ও ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।’
তবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সবই কঠিন পর্যবেক্ষণে রেখেছি। উপকূলে না উঠে আসা পর্যন্ত পর্যবেক্ষণে রাখব। যদি কোনো কারণে এটা দিক পরিবর্তন করে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে আসে তবে, আমরা যেন মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসতে পারি। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, ইনশা আল্লাহ, আল্লাহ যেভাবে আমাদের বাংলাদেশের প্রতি রহমত করেছেন, দয়া করেছেন, সেটা অব্যাহত থাকলে এবার হয়তো ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে পারবো।’
ভারতের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও শক্তি বৃদ্ধি করবে ‘ইয়াস’। পরের ২৪ ঘণ্টায় আরও শক্তিশালী রূপ নিয়ে আছড়ে পড়বে স্থলভাগে।
পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ ও ওডিশার পারাদ্বীপের মধ্যে দিয়ে ঘূর্ণিঝড়টির স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
এছাড়া আবহাওয়া বিষয়ক ওয়েবসাইট উইন্ডি ডটকম এবং ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত ওয়েবসাইট সাইক্লোকেইনে ‘ইয়াস’র দেওয়া সম্ভাব্য গতিপথেও এমন দেখা গেছে।
এদিকে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের পাঁচ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়টি সোমবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।