রাতে দেশ রূপান্তরকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান। তিনি বলেন, শ্বাসকষ্ট শুরু হলে গত ৩ মে খালেদা জিয়াকে কেবিন থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেয়া হয়। এরপর বৃহস্পতিবার তাকে কেবিনে নেয়া হয়।
গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। শুরুতে বাসায় চিকিৎসা নিলেও ২৭ এপ্রিল সিটি স্ক্যান করার জন্য তাকে রাজধানীর বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে হাসপাতালের কেবিনে ভর্তি করা হয়। এরপর শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তাকে ৩ মে সিসিইউতে নেয়া হয়। সিসিইউতে নেয়ার পর তার জ্বর আসে। তবে পরদিনই তার জ্বর কমে যায়।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রাতে দেশ রূপান্তরকে বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে সিসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে। প্রতিদিনই হাসপাতাল কর্তৃক গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা মনিটরিং করছেন। সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে আছেন তিনি।
খালেদা জিয়ার মেডিকেল টিমের একজন চিকিৎসক জানিয়েছেন, তার হার্ট, ডায়াবেটিসসহ অন্য সমস্যাগুলোর উন্নতি হওয়ায় কেবিনে নেয়া হয়েছে। এখানে তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। কয়েকদিন পর বলা যাবে তাকে কবে বা কখন বাসায় নেয়া যাবে।
জানা গেছে, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকলেও বিএনপি চেয়ারপারসন প্রতিদিন তার জন্য বাসায় তৈরি করা খাবার খাচ্ছেন। প্রতি বেলার খাবার বাসা থেকে হাসপাতালে নেয়া হয়। নিজের গুলশানের বাসভবন ফিরোজা অথবা তার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দারের বাসা থেকে খাবার পাঠানো হয়।