অনলাইন ডেস্ক |
চীনা কোম্পানি সিনোভ্যাকের তৈরি করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
রবিবার ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান অনুমোদনে স্বাক্ষর করেছেন।
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার সরবরাহ সংকটে টিকাদান কার্যক্রম নিয়ে জটিলতার মধ্যে আরেকটি টিকার অনুমোদন দেওয়া হলো।
এ নিয়ে দেশে মোট পাঁচটি টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেল। এর আগে অ্যাস্ট্রাজেনেকা, স্পুৎনিক-৫, সিনোফার্ম ও ফাইজারের টিকা অনুমোদন পেয়েছে।
কেবল আমদানি নয়, স্পুৎনিক-ভি ও সিনোফার্মের টিকা দেশেই উৎপাদনের জন্য ইতিমধ্যে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে সরকার। প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে অথবা কাঁচামাল নিয়ে এসে বাংলাদেশের ওষুধ উৎপাদনকারী কোম্পানিতে টিকা উৎপাদন করা যাবে।
এর আগে গত ৮ জানুয়ারি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার অনুমোদন দিয়েছিল ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
দেশে গত ৭ ফেব্রুয়ারি দেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। অক্সফোর্ড- অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত এ টিকা দেশে আনার বিষয়ে গত নভেম্বর বাংলাদেশ সরকার, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মার সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়। অগ্রিম টাকাও পরিশোধ করে বাংলাদেশ।
চুক্তি অনুসারে ৩ কোটি ডোজের প্রতিমাসে ৫০ লাখ ডোজ করে বাংলাদেশের পাওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত ৭০ লাখ টিকা এসেছে। নরেন্দ্র মোদি সরকার টিকা রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিলে সরবরাহ বন্ধ করে দেয় সেরাম।
অগ্রিম টাকা নিয়েও সেরাম চুক্তি অনুযায়ী প্রতিশ্রুত টিকা সরবরাহ না করায় শেষ পর্যন্ত টিকা সংকটে বন্ধ হয়ে যায় বাংলাদেশের টিকাদান কর্মসূচি।
কেনা টিকার জন্য ভারতের সর্বোচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ করেও ব্যর্থ বাংলাদেশ। চুক্তিতে দায়মুক্তি দিয়ে রাখায় সেরাম ইনস্টিটিউটের বিরুদ্ধে মামলা করারও সুযোগ নেই।
বিকল্প উৎস না রাখায় সমালোচনার মুখে সরকার টিকার জন্য দ্বারস্থ হয় যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও রাশিয়ার প্রতি। তড়িঘড়ি করে চীনের সিনোফার্ম আর রাশিয়ার স্পুৎনিক-ভি টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয় ঔষধ প্রশাসন।
সম্পাদক ও প্রকাশক- মেহেদী হাসান
Copyright © 2024 Livenews24. All rights reserved.