আট বছর আগের দুই টুইটের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ হলেন ইংল্যান্ডের বোলার ওলি রবিনসন।
ঘটনার তদন্ত যতদিন না শেষ হচ্ছে ততদিন তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন না। তাকে ইতিমধ্যেই ইংল্যান্ডের শিবির ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়েছে। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে তিনি নেই।
রবিবার ইংল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ডের প্রথম টেস্ট অমীমাংসিত অবস্থায় শেষ হয়। এরপরেই রবিনসন সম্পর্কে নিজেদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয় ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)।
২০১৩ সালে বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য করেছিলেন রবিনসন। লর্ডসে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে নামার পরেই সেই টুইট ভেসে ওঠে। এরপরেই তদন্তে নামে ইসিবি। রবিনসন ইতিমধ্যে ক্ষমা চেয়েছেন।
প্রথম টেস্টে সাত উইকেট নেন রবিনসন। দলের অধিনায়ক জো রুট তার খেলার প্রশংসা করেও তীব্র বিরোধিতা করেছেন বর্ণবিদ্বেষের। বলেন, ‘ব্যাটে ভালো অবদান রেখেছে। দুর্দান্ত বোলিং করেছে। টেস্ট ক্রিকেটে সফল হওয়ার মসলা ওর মধ্যে রয়েছে। কিন্তু মাঠের বাইরে যা করেছে তা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। ঘটনা প্রকাশ পাওয়ার পরেই ড্রেসিংরুমে সবার কাছে ক্ষমা চেয়েছে। আমি ওর টুইট দেখিনি। ও এরকম টুইট করতে পারে, বিশ্বাসও করতে পারি না।’
২০১৩ সালে কেন্ট ছেড়ে ইয়র্কশায়ারে যোগ দেন রবিনসন। ওই সময় এক টুইটে তিনি লেখেন, ‘আমার নতুন মুসলিম বন্ধু হল বোমা।’
আরেকটি টুইটে তিনি এশিয়ানদের হাসি নিয়ে বিদ্রূপ করেন।
ব্যাপারটা তখন নজরে আসেনি। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ড মাঠে নামার কয়েক ঘণ্টা পরেই সেই টুইট সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়ে। পরে ব্যবস্থা নেয় ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড।