সোমবার জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন, ‘স্বাস্থ্য খাতে যে মঞ্জুরি দেওয়া হচ্ছে, বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে জানা যাচ্ছে, এই অর্থের অপচয় হচ্ছে। যাদের ধরা হয়েছে, মামলা হয়েছে, কোনো শাস্তি পেয়েছে- এমনটা দেখা যায় না।’
তিনি বলেন, ‘কোনো না কোনো ফাঁক দিয়ে তারা বের হয়ে যাচ্ছে। তারা পুকুরচুরি করে বের হয়ে যাচ্ছে। যারা এসব তুলে ধরছেন, তারা নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন বলে জনগণের চোখে ধরা পড়ছে।’
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, কিছুদিন আগে একজন সাংবাদিককে বিভিন্নভাবে হেনস্তা করা হয়েছে। গলা টিপে ধরা হয়েছে। তার নামে মামলা দেওয়া হয়েছে। গুজব ছড়াচ্ছে তার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহী মামলা হতে পারে। বিশাল শাস্তি হতে পারে।
এ সময় তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেবেন। প্রতি মাসে ২৫ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। তাতে দুটি ডোজ দিতে ১০ বছর সময় লাগবে।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের প্রশ্ন, তাহলে এই ১০ বছরে জীবন ও জীবিকার কী হবে? অর্থনীতির কী হবে?
তিনি বলেন, কখন, কোথা থেকে কত টিকা পাওয়া যাবে- এখন পর্যন্ত তা নিশ্চিত নয়। কিছু জায়গা থেকে বন্ধুসুলভ মনোভাব দেখিয়ে ডোনেশান দিয়েছে।
জিএম কাদের বলেন, একটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করার কারণে যখন তারা দিতে ব্যর্থ হয়েছে, পরবর্তী কোনো বিকল্প ছিল না। এখন টিকা নিয়ে খুবই অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। টিকা কোথা থেকে আসবে, তা খবরে শুধু আশার বাণী শোনা যাচ্ছে।
প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে তিনি বলেন, এই বাজেটে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়নি। করপোরেট কর কমানো হয়েছে। এতে ধনী আরও ধনী হবে, গরিব আরও গরিব হবে।
সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা বলেন, ধনীদের তোষণের জন্য এই বাজেট অত্যন্ত কার্যকর হবে বলে অনেকে মনে করছেন। অনেক বিশেষজ্ঞ বলেছেন, এই বাজেটকে বলা যায়- বাজেট অব দ্য বিজনেসম্যান, বাই দ্য বিজনেসম্যান, ফর দ্য বিজনেসম্যান।