দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৫৪৯ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এটি একদিনে প্রাণঘাতি ভাইরাসে আক্রান্তের সর্বোচ্চ রেকর্ড। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৬৪৬২ জনে। এসময় মৃত্যু হয়েছে আরও ৩ জনের। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৫৫ জনে। এরমধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৮ জন।
মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যাচ্ছে, দেশে করোনায় আক্রান্তের হার ক্রমান্বয়ে বাড়ছে।গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ সংখ্যক ৫৪৯ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
দেশের গত ১৫ দিনের আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যায় চোখ রাখলেই বোঝা যায় করোনা ভাইরাস বিস্তৃত হচ্ছে ক্রমশই।
১৩ এপ্রিল: আক্রান্ত হন ১৮২, মারা যান ৫। সুস্থ হয়েছেন ৩ জন।
১৪ এপ্রিল: আক্রান্ত হন ২০৯ জন, মারা যান ৭ জন। কেউ সুস্থ হননি।
১৫ এপ্রিল: এই সংখ্যা ঠেকে ২১৯ জনে, মারা যান ৪জন। সুস্থ হয়েছেন ৭ জন।
১৬ এপ্রিল: আক্রান্ত হন ৩৪১ জন, মারা যান ১০ জন।
১৭ এপ্রিল: আক্রান্ত হন ২৬৬ জন, মারা যান আরও ১৫ জন।
১৮ এপ্রিল: আক্রান্ত হন ৩০৬ জন, আর ৯ জন মারা যান। সুস্থ হয়েছেন ৮ জন।
১৯ এপ্রিল: ৭ জন মারা যান, আক্রান্ত হয় ৩১২ জন। সুস্থ হয়েছেন ৯ জন।
২০ এপ্রিল: ১০ জন মারা যান, আক্রান্ত হন ৪৯২ জন। সুস্থ হয়েছেন ১০ জন।
২১ এপ্রিল: আক্রান্ত হন ৪৩৪ জন, মারা যান ৯ জন। সুস্থ হয়েছেন ২ জন।
২২ এপ্রিল: শনাক্ত হয় ৩৯০ জনের দেহে। মারা যান ১০ জন, সুস্থ হন ৫ জন।
২৩ এপ্রিল: আক্রান্ত হন ৪১৪ জন, মারা যান ৭ জন, সুস্থ হন ১৬ জন।
২৪ এপ্রিল: আক্রান্ত হন ৫০৩ জন, মারা যান ৪ জন, সুস্থ হন ৪ জন।
২৫ এপ্রিল: আক্রান্ত হন ৩০৯ জন, মারা যান ৯ জন, সুস্থ হননি কেউই।
২৬ এপ্রিল: আক্রান্ত হন, মারা যান ৫ জন, সুস্থ হন ১০ জন।
২৭ এপ্রিল: আক্রান্ত হন ৪৯৭ জন, মারা যান ৭ জন, সুস্থ হন ৯ জন।
দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছিল গত ৮ মার্চ। এরপর দু’চারজন করে বাড়তে থকে। ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়ে যায়। তবে গত ১৫ দিনে যে হারে করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্তের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।