শিশুতোষ শাখায় অনুদান পাচ্ছে দুই ছবি। এরমধ্যে ৫০ লাখ টাকা অনুদানের জন্য নির্বাচিত হয়েছে ‘মাইক’। যার প্রযোজক ও কাহিনিকার এফ এম শাহীন। চিত্রনাট্য লিখেছেন হাসান জাফরুল। পরিচালনা করেছেন এফ এম শাহীন এবং হাসান জাফরুল। ‘নুলিয়াছড়ির সোনার পাহাড়’ ছবিটি পাচ্ছে ৬০ লাখ টাকা। এর প্রযোজক, পরিচালক, কাহিনি, চিত্রনাট্যকার লুবনা শারমিন। গল্পকার শাহরিয়ার কবির।
সূত্রমতে, সাধারণ শাখায় অনুদানের জন্য নির্বাচিত হয়েছে ৯টি চলচ্চিত্র। ৬৫ লাখ টাকা পাচ্ছে ‘জয় বাংলা’ ছবিটি। এর প্রযোজক মিটু সিকদার, কাহিনিকার মুনতাসীর মামুন, চিত্রনাট্য ও পরিচালক কাজী হায়াৎ। প্রযোজক জানে আলমের ‘জামদানী’ পাচ্ছে সমপরিমাণ টাকা। এর পরিচালক অনিরুদ্ধ রাসেল, কাহিনি বিন্যাস, চিত্রনাট্য ও সংলাপ আজাদ আবুল কালাম।
সর্বোচ্চ অনুদান পাচ্ছে ‘চাঁদের অমাবস্যা’ ছবিটি, ৭০ লাখ। এর প্রযোজক, পরিচালক, কাহিনি ও চিত্রনাট্যকার জাহিদুর রহিম অঞ্জন। অভিনেত্রী প্রযোজক জয়া আহসানের ‘রইদ’ পাচ্ছে ৬০ লাখ টাকা। এর কাহিনিকার ও পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমন। ‘পেন্সিলে আঁকা পরী’ ছবিটি পাচ্ছে ৬০ লাখ টাকা। এর প্রযোজক মেহেজাবীন রেজা চৌধুরী, আসাদুজ্জামান ও অমিতাভ রেজা। চিত্রনাট্য লিখেছেন রঞ্জন রব্বানী। হুমায়ুন আহমেদের গল্পে এর পরিচালক অমিতাভ রেজা চৌধুরী। ‘জলে জ্বলে’ ছবিটি পাচ্ছে ৬০ লাখ টাকা। এর প্রযোজক ও পরিচালক অরুণ চৌধুরী। কাহিনি ও চিত্রনাট্যকার মিস ইফফাত আরেফিন।
অরুণা বিশ্বাসের প্রযোজনা, পরিচালনা ও চিত্রনাট্যে ‘অসম্ভব’ ছবিটি পাচ্ছে ৬০ লাখ টাকা। এর কাহিনিকার জাহিদ বাবুল। সমপরিমাণ অর্থ পাচ্ছে মির্জা সাখাওয়াৎ হোসেনে প্রযোজনা, পরিচালনা, কাহিনি ও চিত্রনাট্যে ‘ভাঙন’। ৬৫ লাখ টাকা দেওয়া হচ্ছে রকিবুল হাসান চৌধুরীর (পিকলু) প্রযোজনা, পরিচালনা, কাহিনি ও চিত্রনাট্যে ‘দাওয়াল’ ছবিটিকে।
অনুদান পেয়েছেন আলোচিত পরিচালক পিপুল আর খান। ‘বলী’ নামের এ ছবিটি প্রযোজনা করেছেন ইকবাল হোসেন চৌধুরী। তামান্না সুলতানার প্রযোজনায় ‘শ্রাবণ জোৎস্নায়’ পরিচালনা করেছেন আব্দুস সামাদ খোকন।
আছে আশুতোষ সুজনের ‘দেশান্তর’, খোরশেদ আলম খসরুর প্রযোজনায় এসএ হক অলিকের পরিচালনায় ‘গলুই’, মাহফুজুর রহমানের প্রযোজনায় ইব্রাহিম খলিল মিশুর পরিচালনা ‘দেয়ালের দেশে’, দেলোয়ার হোসেন দিলুর প্রযোজনায় অপূর্ব রানার ‘জলরঙ’। এগুলো সবই ৬০ লাখ টাকা করে পাবে।
মন্ত্রণালয় জানায়, চলচ্চিত্রশিল্পে মেধা ও সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করাই অনুদানের মূল লক্ষ্য। ১৯৭৬-৭৭ অর্থবছর থেকে দেশীয় চলচ্চিত্রে সরকারি এ অনুদান চালু করা হয়। মাঝে কয়েক বছর বাদে প্রতিবছরই অনুদান দেওয়া হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় এবার ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য অনুদান ঘোষণা করা হলো।