জুনে তিনগুণ বেশি হারে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করে দেশের ৪৪ শতাংশ মানুষকে অন্তত এক ডোজের আওতায় এনেও সীমান্ত খুলতে পারছে না চীন।
গ্লোবাল টাইমস বলছে, জুনে প্রতিদিন গড়ে ১৭.৩ মিলিয়ন ডোজ দেয়া শুরু করেছে চীন।
একটা-দুটো নয়- সাত ধরনের টিকার মধ্যে সাধারণ মানুষকে যে কোনো একটি নেয়ার সুযোগ করে দিয়েছে দেশটির সরকার।
এত উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য আগামী বছর চীনে অনুষ্ঠেয় শীতকালীন অলিম্পিকের আগে করোনাকে নিয়ন্ত্রণে আনা।
সেই লক্ষ্যে দেশের সীমান্ত ধীরে ধীরে খুলে দেয়ার কথাও ভাবা হয়েছিল। কিন্তু সীমান্ত খোলার আগে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলকে খুলে দিতে গিয়েই দেখা দিচ্ছে সমস্যা। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এখন তা করলে আবার নতুন করে করোনা সংক্রমণ ছড়ানো শুরু হতে পারে। তাদের মনে এমন শঙ্কার জন্ম দিয়েছে সব অঞ্চলে সমানহারে টিকা দেয়ায় ব্যর্থতা।
দেখা গেছে, জুনের প্রথম সপ্তাহে বেইজিং এবং সাংহাইয়ে যেখানে যথাক্রমে ৭০ এবং ৫০ ভাগ মানুষকে টিকা দেয়া সম্ভব হয়েছে, সেখানে ছোট দুই শহর গুয়াংদং এবং শাংদং-এ ২০ ভাগ মানুষকেও টিকা দেয়া যায়নি। তাই কিছু এলাকায় টিকার দুই ডোজ দেয়া দ্রুত শেষ হলেও, কিছু এলাকায় সেই সাফল্য আসবে বেশ দেরিতে। ফলে সব অঞ্চলে সবার অবাধে যাতায়াত শুরু হলে নতুন করে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা থাকবেই।
চাইনিজ সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের গবেষক ফেং জিজিয়ান মনে করেন, বিশাল দেশ চীনের জনসংখ্যাও বিপুল বলে সব বিষয়ে সতর্ক না হলে সংকট আবার বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল।