ডেস্ক রিপোর্ট।।
দান করুন গোপনে-
জাগ্রত মাদারীপুর তাদের ধারাবাহিকতা অনুযায়ী অসহায় ও গরিবদের সহযোগিতায় আপোষহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে দিনমজুর শ্রেনী যাদের সঞ্চয় বলতে কিছু থাকে না তাদের পাশে অন্তত কয়েক বেলার খাবারের সংস্থানের ব্যবস্থা করেছে। পরিবারের সদস্য অনুযায়ী বাজারে ক্রয়কৃত উন্নত চাল, মশুর ডাল, পিয়াজ, শুকনা মরিচ, সয়াবিন তৈল দিয়ে রাতের আধারে সহযোগিতা করে।
ব্যানার ফেস্টুন ও ফটোসেশান করে সহযোগিতা থেকে নীতিগতভাবে সরে এসেছে। গোপন দান সবচেয়ে উত্তম। এই নীতিকে প্রাধান্য দিয়ে নীরবে কাজ করে যাচ্ছে এক ঝাক তরুন। জাগ্রত মাদারীপুর মাদারীপুর জেলায় প্রথম কোন অনলাইন ভিত্তিক সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আত্ম প্রকাশ করে। বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছিলো। কিন্তু এর সৎ ও ধার্মিক উপদেষ্টা প্যানেলের পরামর্শ অনুযায়ী অফলাইন কর্মকান্ড ও গোপন সেবায় উৎসাহিত হয়। উপদেষ্টাদের মতে, যে উপকৃত হলো সে হয়ত অভাবী বা অসহায় হিসেবে পরিচিতি পেতে চায় না কিন্তু তাদের সহযোগিতা দরকার।
তাই এর কার্যকরী পরিষদ সেভাবেই কাজ পরিচালনা করে যাচ্ছে।
জাগ্রত মাদারীপুরের মূলনীতি অনুসারে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত সদস্যদের অংশগ্রহনে এই সহায়তা কর্মসূচি পালিত হয়।
উপদেষ্টাদের অন্যতম সদস্য, সমাজসেবক ও বিশিষ্ট সাংবাদিক মেহেদি হাসান সোহাগ এর মতে, “ আমরা দান করব তা সকলে জানবে এবং অন্যরা উৎসাহিত হয়ে এগিয়ে আসবে কিন্তু যারা উপকৃত হলো তারা যেন ফটোসেশান ও প্রচার বানিজ্যে পরিনত না হয়। আল্লাহ বাংলাদেশ সহ সমগ্র বিশ্ববাসীকে এই বিশ্ব মহামারি থেকে রক্ষা করুন এবং হেদায়েত দান করুন, আমিন।”
জাগ্রত মাদারীপুর সমাজের এমন লোকদের তালিকা করে যারা দৈনিক উপার্জনে সংসারের ভরনপোষণ করত কিন্তু সঞ্চয় বলতে তাদের কিছুই নেই। দীর্ঘদিন যাবৎ মাদারীপুর লকডাউনে থাকায় তারা প্রকৃতপক্ষে শূন্য উপার্জনের মানুষে পরিনত হয়। তাদের কাছে এক বেলা খাবারের গুরুত্ব অসীম।
জাগ্রত মাদারীপুরের প্রতিষ্টাতা জনাব সুমন আহম্মেদ বলেন, “ মূলত আমরা তাদেরই বেছে নেওয়ার চেস্টা করেছি যারা সাধারনত যারা প্রকাশ্যে সরকারি ও বেসরকারি সাহায্য সহযোগিতা পাওয়ার কথা মুখে প্রকাশ করতে পারে না। এছাড়াও এমন পরিবার রয়েছে যারা লকডাউনে আটকা পড়েছে কিন্তু এই এলাকার ভোটার নয় বা নাগরিক সুবিধা পাওয়ার মত কোন ডকুমেন্ট দিতে পারে না। তাই তারা সাহায্যও অনেক ক্ষেত্রে পায় না। এলাকার কিছু মানুষ সহযোগিতা করলেও এই শ্রেনীটা বরাবরই বাদ পড়ে যায়। কারন যারা দাতা তারা তাদের চিনে না বা তারা তাদের কোন কাজে আসবে না এমন ভাবনা থেকেই এই শ্রেনীটা বঞ্চিত হচ্ছে। আর জন প্রতিনিধিরা এদের সাহায্য করার প্রশ্নই উঠে না। এছাড়াও যারা বন্টনকারি তারা তাদের মনোনীত ব্যক্তিকেই তালিকায় রাখে। আমরা চাই প্রকৃত অসহায় লোকজন এই বিপদে একটু সহযোগিতা পাক। কথাগুলো মিডিয়ায় প্রকাশ করার কারন একটাই কারন সবাই সত্যিকারের অসহায় লোকদের সম্পর্কে জানতে পারুক এবং বিত্তশালীরা এদেরও যেন সহযোগিতার তালিকায় রাখেন। গোপন দান আল্লাহর কাছে সবচেয়ে উত্তম। কিন্তু আমরা কেন এগুলো বলছি। হ্যাঁ, এটা সকলের জানার দরকার আছে আর এভাবেই প্রকৃত অসহায় লোকজন যেন সহযোগিতা পায়। ”
জাগ্রত মাদারীপুর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নিজস্ব ফান্ডে সমাজসেবা মূলক কর্মকান্ড করে এসেছে এবং ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে মাদারীপুরের জন্য কাজ করার পরিকল্পনা আছে। জাগ্রত মাদারীপুর সমাজের মানব দরদী মানুষকে এই মহৎ কাজে অংশগ্রহনের আহবান জানায়।
সম্পাদক ও প্রকাশক- মেহেদী হাসান
Copyright © 2024 Livenews24. All rights reserved.