বার্তা সংস্থা তাস জানায়, এক ব্রিফিংয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী সৌমিয়া স্বামিনাথান শুক্রবার এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, কভিডের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট দ্রুত গতিতে বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ায় বর্তমানে বিশ্বব্যাপী এ ভ্যারিয়েন্টের দাপট লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
এর আগে স্পুটনিক-৫ টিকার প্রস্তুতকারকরা জানান, রাশিয়ার এ ভ্যাকসিন ভারতীয় এ ভ্যারিয়েন্ট প্রতিরোধে অধিকভাবে কার্যকর। আর এর ট্রায়ালের ফলাফল প্রকাশনার জন্য ইতিমধ্যে জমা দেওয়া হয়েছে।
ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট হিসেবে চিহ্নিত করে। এটি প্রথম ভারতে শনাক্ত করা হয়েছিল এবং এরপর থেকে যুক্তরাজ্যে এখন ৯০ শতাংশ সংক্রমণের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই ধরন।
এ দিকে ডেল্টা ধরনের বড় ঝুঁকিতে আছে বাংলাদেশ। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা সংস্থা আইসিডিডিআরবি জানায়, ঢাকায় শনাক্ত করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর ৬৮ শতাংশ ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট।
রাজধানীতে করোনা আক্রান্ত ৬০ জন ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহের পর জিনোম সিকোয়েন্সিং করে সংস্থাটি এই তথ্য পেয়েছে।
এ দিকে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট আইইডিসিআর ৪ জুন জানায়, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ধরন অনেকটাই ছড়িয়ে পড়েছে।
সংস্থাটি দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে করোনাভাইরাসের ৫০টি নমুনা সংগ্রহ করে জিনোম সিকোয়েন্সিং করার পর ফলাফল হিসেবে দেখা গেছে নমুনার ৮০ শতাংশের মধ্যেই ভারতীয় ধরন উপস্থিত ছিল।
এ ছাড়া ভারতের অন্যান্য প্রতিবেশী দেশে করোনার এ ধরনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।