জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে টিকার বড় চালান আসছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ‘রিপোর্ট অন বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস ২০২০’ জরিপের তথ্য প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, আমি আপনাদের একটি সুসংবাদ দিতে চাই যে, আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে আমরা বড় অ্যামাউন্টের ভ্যাকসিন পেতে যাচ্ছি। তবে কোন দেশ থেকে বা কোন টিকা আসছে, কী পরিমাণ আসছে, তা জানাননি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী যেসব মানুষ রেমিট্যান্স সংগ্রামে বিদেশ যাচ্ছেন, টিকাদানের ক্ষেত্রে তাদেরকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এরপর দেওয়া হবে তাদের, যারা জটিল রোগের কারণে উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
জটিল রোগের বিষয়ে তিনি বলেন, যেসব লোকের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ক্যানসার আছে বা অন্য কোনো রোগের জন্য ওষুধ খান, যেটার জন্য তার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেছে, সেই সমস্ত রোগীরা যখন কোভিডে আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের মধ্যে মৃত্যুর হার বাড়ছে।
টিকাদানে স্বাস্থ্য সেবা খাতের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বেড়েছে দাবি করে তিনি বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রতিদিন অন্তত এক কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করেছে।
বাংলাদেশের টিকা না পাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খুরশীদ বলেন, বিশ্বব্যাপী ভ্যাকসিন নিয়ে একটি বড় পলিটিকস চলছে। আমরাও সেই পলিটিকসের শিকার।
গত বছর চীনের একটি টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হওয়ার কথা থাকলেও সরকার তা অনুমোদন দেয়নি। যা হলে ওই টিকাটি সহজে পাওয়ার সুযোগ তৈরি হতো।
এ বিষয়ে খুরশীদ বলেন, তখন অনেকে বলেছিল এখানে ট্রায়াল করার জন্য। কিন্তু উনি (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) হতে দেননি। উনি বলেছিলেন যে বাংলাদেশের মানুষকে আমি গিনিপিগ হতে দেব না।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, একটা ভ্যাকসিন তৈরি হতে ৭ থেকে ৮ বছর সময় লাগে, সেখানে এত দ্রুত একটি ভ্যাকসিন তৈরি হচ্ছে, সেটার অনেক সাইড ইফেক্ট থাকতে পারে। ওরা ভ্যাকসিন তৈরি করুক, এরপর ওদের দেশে ট্রায়াল করুক, তারপরে তারা ঘোষণা দিক যে এটা সেইফ। এরপর আমরা এটা কিনে নেব।
তবে সম্প্রতি চীনের নতুন একটি টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল-বিএমআরসি।