খুলনার ১৩০ শয্যা বিশিষ্ট ডেডিকেটেড করোনা দুইজন, খুলনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে তিনজন এবং গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে এসব তথ্য জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের মুখপাত্ররা।
করোনা হাসপাতালের ফোকালপার্সন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, খুলনার ১৩০ শয্যা বিশিষ্ট ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালে মৃতরা রেড জোনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২০১ জন, যার মধ্যে রেড জোনে ১১৩ জন, ইয়েলো জোনে ৩৮ জন, আইসিইউতে ২০ জন ও এইচডিসিতে ২০ জন।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৪৪ জন, আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৮ জন।
খুলনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ জানান, খুলনার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
মৃতরা হলেন- খুলনার দৌলতপুরের আয়শা বেগম (৬৮), একই এলাকার ফাতেমা বেগম (৬০) এবং বাগেরহাটের শরণখোলার রাবেয়া বেগম (৪৫)। একদিনে হাসপাতালটিতে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ১৮ জন, আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৬ জন।
অন্যদিকে, খুলনার বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালটির স্বত্ত্বাধিকারী ডা. গাজী মিজানুর রহমান।
তিনি আরও জানান, আজ সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ৮৫ জন, এর মধ্যে আইসিইউতে রয়েছেন ৫ জন আর এইচডিইউতে আছেন ১০ জন।
মৃত ব্যক্তিরা হলেন- খুলনার গল্লামারীর নূর আলম মোল্লা (৬৭), ডুমুরিয়ার অজয় সাহা (৫২), বটিয়াঘাটার নিখিল রঞ্জন মন্ডল (৬৯), খুলনার দৌলতপুরের পাবলার মো. গোলাম হোসাইন (৬৫), যশোরের বেজপাড়ার এসএম অনিন্দ রিমেল (৩০), একই এলাকার শিমুলপুরের সেকেন্দার আলী (৫৫), কেশবপুরের সানাঙ্গসা এলাকার সিরাজ উদ্দিন (৯৫), পিরোজপুর সদরের ৩১৪ সিআইপাড়ার আবুল বরকত (৮১)। গতকাল ৩২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।