চঞ্চল চৌধুরী- ছোটপর্দা, বড় পর্দার পর এখন ওটিটিও মাতাচ্ছেন। সব মাধ্যমেই সরব বিচরণ তার। গুণী এই অভিনেতা শুধু অভিনয় করেই ক্ষান্ত নন, মাঝে মাঝে নানা অনিয়ম-অসংগতির বিরুদ্ধেও কথা বলেন। এবার তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে জানালেন, লেখক, পরিচালক, প্রযোজকদের বাদ দিয়ে তারকার নাম ভাঙিয়ে প্রোডাকশন বিক্রি করা ঠিক নয়। তিনি দাবি জানান, যার যার প্রাপ্তি তার তার হোক ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি লেখেন, ‘একটা সময় পর্দায় লেখা হতো সত্যজিৎ রায়ের ‘পথের পাঁচালি’ বা হুমায়ূন আহমেদের ‘শঙ্খনীল কারাগার’ বা মামুনুর রশীদের নাটক বা মোস্তফা সরোয়ার ফারুকীর ‘ডুব’ বা সালাউদ্দিন লাভলুর নাটক। এ রকম মেনে নিতে আপত্তি নেই। কারণ যার লেখা তারই ডিরেকশন হলে এটা লেখা যায়। কিন্তু ইদানীং দেখি, দেশি-বিদেশি ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলোতে শিল্পীর নামে লেখা হয় অমুকের নাটক বা ওয়েব সিরিজ। যেহেতু শিল্পীদেরকেই দর্শকেরা বেশি চেনেন, সেই ব্যবসায়িক সুযোগটা নেবার জন্য এ রকম লেখা হচ্ছে।’
প্রশ্ন ছোড়ে দিয়ে চঞ্চল চৌধুরী লিখেন, ‘এবার বলুন তো একটি নাটক বা সিনেমার মালিকানা কার? আসলে প্রডিউসারের। প্রচারের স্বার্থে যদি ডিরেক্টরের নাম যায়, তাও মেনে নেওয়া যায়। যেমন: গিয়াস উদ্দিন সেলিমের সিনেমা ‘মনপুরা’ বা অমিতাভ রেজার ‘আয়নাবাজি’। কিন্তু যদি লেখা হয় চঞ্চল চৌধুরীর ‘তাকদীর’ আমি বলব, এটা ঠিক নয়। ‘তাকদীর’ সৈয়দ শাওকীর বা হইচইয়ের। আমি এতে অভিনয় করেছি মাত্র। লিখলে এটুকুই লিখবেন—চঞ্চল চৌধুরী অভিনীত ‘তাকদীর’।
নাটক-চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্যকাররা বরাবরই আড়ালে থেকে যান। বিষয়টি স্মরণ করে এই অভিনেতা লেখেন, ‘চিত্রনাট্যকারদের কথা কী বলব? তারা তো সর্বদাই অবহেলিত। যার যার প্রাপ্তি তার তার হোক। নাম বেচা বন্ধ হোক। তারকাদের নাম ভাঙিয়ে প্রোডাকশন বিক্রি বা প্রচার বন্ধ হোক। নাটক বা সিনেমা টিম ওয়ার্ক। এটা মনে রাখলেই চলবে।’