আবাহনীর বিপক্ষে ম্যাচে মোহামেডানের অলরাউন্ডার সাকিবের লাথি মেরে স্টাম্প ভাঙা ও পরে স্টাম্প আছাড় মারার সেই ম্যাচটিতে দায়িত্বে ছিলেন না মুনিরুজ্জামান। তবে মাহমুদউল্লাহ যে ম্যাচটিতে আম্পায়ারিংয়ের সিদ্ধান্তের ওপর মেজাজ হারান, সেই ম্যাচের টিভি আম্পায়ার ছিলেন তিনি।
আম্পায়ারের সঙ্গে অসদাচরণের জন্য সাকিবকে তিন ম্যাচ নিষিদ্ধ ও ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। মাহমুদউল্লাহকে লেভেল-২ অপরাধের জন্য ২ লাখ টাকা জরিমানা দিতে হয়। তবে দুই তারকা শাস্তি পেলেও মুনিরুজ্জামান ক্লিয়ার-কাট জানিয়েছেন, আম্পায়াররা আরও বেশি ভালো আচরণ প্রত্যাশা করেন।
ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে তিনি বলেন, ‘যথেষ্ট হয়েছে আমার জন্য এবং আমি আর আম্পায়ারিং করতে চাই না। আম্পায়াররা ভুল করতে পারে তবে আমাদের সঙ্গে যদি এমন ব্যবহার করা হয় তবে কোনো বিষয় নেই, আম্পায়ারিং করার। কারণ আমি কেবল টাকার জন্য আম্পায়ারিং করি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি সাকিবের ওই বিতর্কিত ম্যাচটিতে ছিলাম না। সে যেভাবে আচরণ করেছে তা হজম করা আমার জন্য কঠিন ছিল। মাহমুদউল্লাহর ম্যাচটিতে, আমি টিভি আম্পায়ার ছিলাম এবং খুব নিকট থেকে অধ্যায়টি দেখছিলাম। তার আচরণ আমাকে অসাড় করে ফেলেছিল এবং এই মুহূর্তে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আম্পায়ারিং চালিয়ে না যাওয়ার।
বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতিশীল আম্পায়ারদের একজন মনিরুজ্জামান। আরেক আম্পায়ার মোরশেদ আলী খানের বাংলাদেশের আইসিসি ইমার্জিং প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন তিনি।