ভিশন ২০৩০ এর আওতায় সৌদি আরবে গত কয়েকবছর ধরে নারী অধিকারসহ নানা বিষয়ে সংস্কারকাজ চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় দেশটি শ্রম আইনে বেশ কিছু পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। তার মধ্যে অন্যতম পুরোনো চাকরিদাতার অনুমতি ছাড়া গৃহকর্মীদের চাকরি বদলানোর সুযোগ।
দেশটির শ্রম আইনে এমন পরিবর্তন আনা হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সৌদি গ্যাজেট।
দেশটির শ্রম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১০ পরিস্থিতিতে নিয়োগকর্তার সম্মতি ছাড়াই গৃহকর্মীরা চাকরি পরিবর্তন করতে পারবেন। এর মধ্যে গৃহকর্মীদের বেতনজনিত সমস্যা, কোনো কাজ তাদের স্বাস্থ্য বা জীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বা বিপজ্জনক হলে গৃহকর্মীরা তাদের চাকরি পরিবর্তন করতে পারবেন।
নতুন শ্রম আইনে দুটি বিষয় যোগ করা হয়েছে- নিয়োগকর্তা শ্রমিকের সম্মতি ছাড়াই অন্য নিয়োগকর্তার কাছে শ্রমিকের স্থানান্তর এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে শিক্ষানবিশ সময়কালে নিয়োগকর্তা কর্তৃক ছাটাই বন্ধ হবে।
সৌদি আরবের মানবাধিকার কমিশনের (এইচআরসি) প্রেসিডেন্ট এবং জাতীয় মানবপাচার প্রতিরোধবিষয়ক জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান আওয়াদ আলাওয়াদ সোমবার (৮ আগস্ট) বলেছেন, ভিশন ২০৩০ -এর আওতায় দেশটিতে সংস্কারকাজ চলতে। নতুন শ্রম আইন সৌদি আরবকে কর্মীবান্ধব করে তুলবে বলে জানান তিনি। যার ফলে লাখ লাখ বিদেশি কর্মীর চলাফেরার স্বাধীনতা এবং উন্নত শ্রম অধিকারসহ কাজের গতিশীলতা বাড়বে।
এইচআরসির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উল্লেখযোগ্য এই সংস্কারের বাস্তবায়ন সৌদি আরবের প্রতি বিশ্ব সম্প্রদায়ের মনোভাব প্রতিপরিবর্তন করবে।
সৌদি আরবের এ আইনের পরিবর্তনের মূল লক্ষ্য চাকরির বাজারকে আরও গতিশীল করা এবং গৃহকর্মীদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা। নতুন এই নীতির মাধ্যমে সুফল পাবেন গৃহকর্মীরা।