নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডে শেষ হবার পর গতকাল রাতে ঘোষণা কর হয়েছে আসন্ন বিশ্বকাপের জন্য বাংলাদেশের দল। আর সব জল্পনা-কল্পনা এবং নাটকীয়তার অবসান ঘটিয়ে দলে রাখা হয়নি তামিম ইকবালকে। দেশসেরা ওপেনারকে দলে না রাখার বিষয়ে নির্বাচক কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তামিমের চোট নিয়ে দুঃশ্চিন্তা থাকার কারণেই তাকে বিবেচনায় রাখায় হয়নি।
এদিকে তামিমকে বাইরে রেখেই বিশ্বকাপ দল ঘোষণার সঙ্গে মিলে যাচ্ছে এর আগের দুইটি বিশ্বকাপের দৃশ্যপটও। যেখানে অনেকটা একই পরিণতি বরণ করতে হয়েছে সাবেক সফল অধিনায়ক মাশরাফি মুর্তজা এবং বর্তমান পেসার তাসকিন আহমেদকেও।
২০১১ বিশ্বকাপের কথা। সেবার আইসিসির মেগা টুর্নামেন্টের সহ-আয়োজক ছিল বাংলাদেশ। নিজেদের সবগুলো ম্যাচ সেবার ঘরের মাঠেই খেলেছিল টাইগাররা। তবে ঘরের মাঠে এই বিশ্বকাপে টাইগার দলের সদস্য হিসেবে যোগ দিতে পারেননি মাশরাফি। বিশ্বকাপের আগে চোটে পড়ায় ছিটকে যেতে হয়েছিল তাকে। দলে থেকে বাদ পড়া নিশ্চিত হওয়ার পর মিরপুরে শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আখিজলে সিক্ত হয়েছিলেন ম্যাশ। তাঁর সেই কান্না আজও দর্শকদের হৃদয়ে ভাসে।
একই রকম অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে তাসকিনকেও। ২০১৯ বিশ্বকাপের আগে চোটে ছিলেন বাংলাদেশের বর্তমান স্পিডস্টারও। তবে টুর্নামেন্ট শুরু আগেই সেরে ওঠেছিলেন তিনি। কিন্তু চোট থেকে সেরে ওঠলেও ম্যাচ খেলার জন্য ছিলেন না পুরোপুরি ফিট। এ কারণেই শেষ পর্যন্ত তাকে দলে না রাখার সিদ্ধান্তই নেয় নির্বাচকরা। আর এক কারণেই আবেগতাড়িত হয়ে সেদিন কেঁদেছিলেন তিনিও। বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে গেঁথে আছে সেই দিনটির কথাও।
আর এবার একই পরিণতি বরণ করতে হল তামিমকেও। দেশসেরা এই ওপেনার ক্যারিয়ারের গোধূলি লগ্নে এসে ছিটকে গেলেন নিজের শেষ বিশ্বকাপ থেকে।