Free Porn
xbporn

https://www.bangspankxxx.com
Sunday, September 8, 2024
HomeScrollingহজের সফরে মারা গেলে তার বদলি হজের বিধান কী

হজের সফরে মারা গেলে তার বদলি হজের বিধান কী

হজ ইসলামের অন্যতম রুকন। আর্থিক ও দৈহিকভাবে সামর্থ্যবান নারী-পুরুষের ওপর জীবনে একবার হজ করা ফরজ। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন- وَلِلهِ عَلَی النَّاسِ حِجُّ الْبَیْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ اِلَیْهِ سَبِیْلًا ‘মানুষের মধ্যে যারা সেখানে (বায়তুল্লাহ) পৌঁছার সামর্থ্য রাখে তাদের উপর আল্লাহর উদ্দেশ্যে এ গৃহের হজ করা ফরজ। (সুরা আলে ইমরান: ৯৭)

শারীরিক ও আর্থিক সক্ষমতা থাকলে হজ নিজে করা জরুরি। এক্ষেত্রে অন্যকে দিয়ে বদলি হজ করালে তার ফরজ হজ আদায় হবে না। (হেদায়া: ১/২৯৬; আলবাহরুল আমিক: ৪/২২৩৯; বাদায়েউস সানায়ে: ২/৪৫৪)

শক্তি সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে ফরজ হজ করেনি, পরে সক্ষমতা হারিয়ে মাজুর হয়ে পড়েছে—এমন ব্যক্তির জন্য ফরজ হলো- নিজের পক্ষ থেকে বদলি হজ করানো অথবা মৃত্যুর সময় বদলি হজের অসিয়ত করে যাওয়া। আবদুল্লাহ ইবনে আববাস (রা.) বলেন, বিদায় হজে খাছআম গোত্রের একজন নারী রাসুলুল্লাহ (স.)-কে জিজ্ঞাসা করল, ‘ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমার বাবার হজ ফরজ হয়েছে, কিন্তু তিনি এত বৃদ্ধ যে, বাহনের উপর স্থির হয়ে বসে থাকতে পারেন না। আমি কি তার পক্ষ থেকে হজ করতে পারব?’ নবী কারিম (স.) বললেন, ‘হ্যাঁ। (তার পক্ষ থেকে হজ করতে পারবে)।’ (সহিহ বুখারি: ১/২০৫; সহিহ মুসলিম: ১/৪৩১)

হজরত আলী (রা.) অতিশয় বৃদ্ধ লোক সম্পর্কে বলেছেন- يُجَهِّزُ رَجُلاً بَنَفَقَتِهِ فَيَحُجُّ عَنْهُ ‘সে তার পক্ষ থেকে হজ করাবে এবং এর খরচ বহন করবে।’ (মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা: ৮/৫৯৯; আলবাহরুল আমিক: ৪/২২৬১; মানাসিক, মোল্লা আলি ক্বারি: ৪৩৪)

কেউ ফরজ হজের উদ্দেশ্যে মক্কা শরিফে পৌঁছেছে, কিন্তু হজের মূল সময়ের আগেই তার মৃত্যু হয়েছে—এমন ব্যক্তির জন্য মৃত্যুর সময় তার পক্ষ থেকে বদলি হজের অসিয়ত করার প্রয়োজন নেই। এক্ষেত্রে তার ওপর থেকে হজ রহিত হয়ে যায়। কেননা, সে হজ আদায়ের সুযোগ পায়নি। (ফাতহুল কাদির: ২/৩২৭; আদ্দুররুল মুখতার: ২/৬০৪; গুনইয়াতুন নাসিক: ৩৩)

হজ ফরজ হবার পর বিনা ওজরে বিলম্ব করা অনুচিত। রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘ফরজ হজ আদায়ে তোমরা বিলম্ব করো না। কারণ তোমাদের কারো জানা নেই তোমাদের পরবর্তী জীবনে কী ঘটবে।’ (মুসনাদ আহমদ: ২৮৬৭; সুনানে কুবরা বায়হাকি: ৪/৩৪০) হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি আমার বান্দার শরীরকে সুস্থ রাখলাম, তার রিজিক ও আয়-উপার্জনে প্রশস্ততা দান করলাম। পাঁচ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরও যদি সে আমার গৃহে হজের উদ্দেশ্যে আগমন না করে তবে সে হতভাগ্য, বঞ্চিত।’ (ইবনে হিব্বান: ৩৬৯৫; মুসনাদে আবু ইয়ালা: ১০৩১)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সামর্থ্যবানদের হজের গুরুত্ব সম্পর্কে সঠিক উপলব্ধি দান করুন। হজ ফরজ হলে তা অবিলম্বে আদায় করার তাওফিক দান করুন এবং মকবুল হজ নসিব করুন। আমিন।

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments