Free Porn
xbporn

https://www.bangspankxxx.com
Tuesday, September 17, 2024
HomeScrollingকোরআনের বর্ণনায় মুনাফিকের ১৫ বৈশিষ্ট্য

কোরআনের বর্ণনায় মুনাফিকের ১৫ বৈশিষ্ট্য

মুনাফিক একটি ইসলামি পরিভাষা। যার অর্থ একজন প্রতারক বা ‘ভন্ড ধার্মিক’। যে প্রকাশ্যে ইসলাম চর্চা করে; কিন্তু অন্তরে কুফরি বা ইসলামের প্রতি অবিশ্বাস লালন করে। আর এ ধরনের প্রতারণাকে বলা হয় নিফাক। কোরআন-হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী, মুনাফিকরা মুমিন নয়।

পবিত্র কোরআনে তাদের পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে এভাবে-  وَ مِنَ النَّاسِ مَنۡ یَّقُوۡلُ اٰمَنَّا بِاللّٰهِ وَ بِالۡیَوۡمِ الۡاٰخِرِ وَ مَا هُمۡ بِمُؤۡمِنِیۡنَ خٰدِعُوۡنَ اللّٰهَ وَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا ۚ وَ مَا یَخۡدَعُوۡنَ اِلَّاۤ اَنۡفُسَهُمۡ وَ مَا یَشۡعُرُوۡنَ ‘মানুষের মধ্যে এমন কিছু লোক আছে যারা বলে, ‘আমরা আল্লাহর প্রতি এবং আখেরাতের প্রতি ঈমান এনেছি’ কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তারা মুমিন নয়। তারা আল্লাহ ও মুমিনদেরকে প্রতারিত করে, প্রকৃতপক্ষে তারা নিজেদেরকে ছাড়া অন্য কাউকে প্রতারিত করে না, কিন্তু এটা তারা উপলব্ধি করতে পারে না। (সুরা বাকারা: ৮-৯)

১. মুনাফিকদের অন্তর অসুস্থ

মুনাফিকের আকিদা-বিশ্বাসে সন্দেহ, অস্বীকৃতি ও মিথ্যা থাকার কারণে তাদের কলবকে অসুস্থ কলব বলা হয়েছে কোরআনে। আল্লাহ তাআলার ভাষায়, ‘তাদের হৃদয়ে রয়েছে ব্যাধি। অতঃপর আল্লাহ সে ব্যাধিকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছেন, তাদের মিথ্যাচারের দরুন তাদের জন্য রয়েছে অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।’ (সুরা আল বাকারা: ১০)

২. নিজেদের শান্তি প্রতিষ্ঠাকারী মনে করে
মুনাফিকরা সমাজে বিভিন্ন ধরনের ফ্যাসাদ ও অশান্তি সৃষ্টি করে থাকে, অথচ তারা প্রচার-প্রপাগান্ডায় নিজেদের শান্তি প্রতিষ্ঠাকারী বলে পরিচয় দেয়। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘আর যখনই তাদের বলা হয়, পৃথিবীতে ফ্যাসাদ সৃষ্টি করো না, তারা উত্তরে বলে—আমরাই তো সংশোধনকারী ও শান্তিকামী।’ (সুরা বাকারা: ১১)

৩. ফ্যাসাদ সৃষ্টিকারী
মুনাফিকরা ইসলাম ও সামাজিক শান্তির বিরোধিতা করে অশান্তি সৃষ্টি করে। কিন্তু নিজেদের ভ্রষ্টতা ও অজ্ঞতার কারণে অনুভব করতে পারে না। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘সাবধান! এরাই ফ্যাসাদ সৃষ্টিকারী, কিন্তু তাদের সে অনুভূতি নেই।’ (সুরা বাকারা: ১২)

৪. মুমিনদের নির্বোধ মনে করে

মুনাফিকরা নিজেদের বুদ্ধিমান ও চালাক মনে করে। আর মুমিন, মুত্তাকি ও নেককারদের নির্বোধ ও বোকা বলে মনে করে। অথচ আল্লাহ তাআলার কাছে তারাই বোকা ও নির্বোধ। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘যখন তাদের বলা হয়, অন্য লোকদের ন্যায় তোমরাও ঈমান আনো, তখন তারা বলে, আমরা কি সেই নির্বোধ লোকদের মতো ঈমান আনব? আসলে তারাই তো নির্বোধ, কিন্তু তাদের সে জ্ঞান নেই।’ (সুরা বাকারা: ১৩)

৫. প্রত্যেক মুনাফিক উপহাসকারী
উপহাস করা খুব বাজে স্বভাব। এটি মুনাফিকদের চরিত্রে লেগে থাকে। তারা মুমিন ও কাফির সবার সঙ্গে মেশে। মুমিনদের সঙ্গে মিশে মুমিনদের পক্ষের লোক বলে দাবি করে। আবার কাফিরদের সঙ্গে মিশে বলে আমরা তোমাদেরই লোক। মূলত কারো সঙ্গে তাদের আন্তরিক ও গভীর ভালোবাসা নেই। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘যখন তারা মুমিনদের সঙ্গে মিলিত হয় তখন বলে, আমরা ঈমান এনেছি, আবার যখন নিরিবিলি তাদের শয়তানদের (কাফির নেতাদের সঙ্গে) মিলিত হয় তখন বলে, আমরা তো তোমাদের সঙ্গেই আছি। আমরা তাদের (মুমিনদের) সঙ্গে শুধু ঠাট্টা-তামাশা করছি মাত্র।’ (সুরা বাকারা: ১৪)

৬. বিভ্রান্তিতে জীবন কাটে
মুনাফিকদের জীবন কাটে বিভ্রান্তিতে। কারণ তাদের ভ্রষ্টতার জন্য তাত্ক্ষণিকভাবে শাস্তি না দেওয়ায় তাদের ভ্রষ্টতা বৃদ্ধি পায়। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘বস্তুত আল্লাহই তাদের সঙ্গে তামাশা করছেন (তাদের তামাশার জবাব দিচ্ছেন) এবং তাদের তাদের অবাধ্যতার বিভ্রান্তিতে ঘুরে বেড়ানোর অবকাশ দিচ্ছেন।’ (সুরা বাকারা: ১৬) রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, ‘যখন তোমরা কোনো বান্দাকে দেখতে পাও যে সে পাপী হওয়া সত্ত্বেও তার পছন্দনীয় জিনিস তাকে দেওয়া হচ্ছে এবং সে সুখ-শান্তিতে আছে, তবে মনে করবে তা তার জন্য পাকড়াও করার অবকাশ মাত্র।’ আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘আমি শাস্তি না দিয়ে সুযোগ দিই পাপ বৃদ্ধির জন্য।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৭৮)

৭. তাদের অবস্থান সত্যের বিপরীত
মুনাফিকদের স্বভাব হলো- তারা দুনিয়ার লালসায় পড়ে হেদায়েতের বিনিময়ে ভ্রষ্টতাকে অগ্রাধিকার দেয়। অর্থাৎ ঈমানের ওপর নিফাককে প্রাধান্য দেয়। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘তারা এমন লোক, যারা হেদায়েতের পরিবর্তে ভ্রষ্টতাকে ক্রয় করে নিয়েছে। সুতরাং তাদের এ ব্যবসা লাভজনক হয়নি; আর তারা  হেদায়েতও পায়নি।’ (সুরা বাকারা: ১৬)

৮. মুনাফিক আলোর কাছে আসে না
বিশ্বনবী (স.) দ্বীনের আলো তথা কোরআন নিয়ে এসেছেন এবং সর্বত্র দ্বীনের আলো প্রজ্বলিত করেছেন। কিন্তু মুনাফিকরা সে আলো থেকে উপকৃত হতে পারেনি। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘তাদের উদাহরণ হলো ওই ব্যক্তির মতো, যে (অন্ধকারে) আগুন জ্বালিয়েছে; কিন্তু যখন তা তার চারপাশ আলোকিত করল, তখন আল্লাহ তাদের আলো অপসারিত করে তাদের ঘোর অন্ধকারে ফেলে দিয়েছেন, যাতে তারা কিছুই দেখতে পায় না।’ (সুরা বাকারা: ১৭)

৯. তারা বধির, মূক ও অন্ধ
মুনাফিকরা হক কথা শোনার ব্যাপারে বধির, তারা হক কথা শোনে না, সত্য কথা বলার ব্যাপারে মূক ও বোবা এবং সত্য কথা বলে না। সত্য ও ন্যায়ের পথে চলার ব্যাপারে অন্ধ। আল্লাহ তাআলা ওসব সুবিধাভোগীদের অবস্থা বর্ণনা করেন, ‘তারা বধির, বোবা ও অন্ধ। তারা (হকের দিকে) আদৌ ফিরে আসবে না।’ (সুরা বাকারা: ১৮)

১০. তারা সন্দেহপ্রবণ, দ্বিধাগ্রস্ত ও সুবিধাবাদী
মুনাফিকরা সুবিধা ভোগের জন্য ইসলামে দাখিল হয়; কিন্তু ইসলামের বিধিবিধান পালন ও ইসলামের আনুগত্যের কষ্ট স্বীকার করতে রাজি নয়। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘(তাদের উদাহরণ হলো) বর্ষণমুখর ঘন মেঘের মতো, যাতে রয়েছে ঘোর অন্ধকার, বজ্রের গর্জন ও বিদ্যুতের চমক; বজ্রধ্বনিতে মৃত্যুভয়ে তারা তাদের কানে আঙুল ঢুকিয়ে দেয়; আল্লাহ এসব সত্য প্রত্যাখ্যানকারী লোকদের সর্বদিক দিয়ে পরিবেষ্টন করে রেখেছেন। অর্থাৎ তারা আল্লাহর আয়ত্তের ভেতরে আছে, তিনি তাদের সম্পর্কে জানেন।’ (সুরা বাকারা: ১৯)

১১. সুসময়ের সঙ্গী
মুনাফিকরা মুসলমানদের সুখ-শান্তি দেখলে ইসলামের ছায়াতলে চলে আসে। আর যখন মুসলমানরা দুখ-কষ্ট ও বিপদাপদে পতিত হয়, তখন নীরবে কেটে পড়ে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘বিদ্যুৎ চমক যেন তাদের দৃষ্টিশক্তিকে ছিনিয়ে নেয়। যখনই তারা তাদের একটু আলো দেয়, তারা পথ চলে, আর যখনই অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়, তখনই থমকে দাঁড়ায়।’ (সুরা বাকারা: ২০) অর্থাৎ সুসময়ে ইসলামের ছায়াতলে চলে আসে, আর যখন বিপদ দেখতে পায়, তখন সিটকে পড়ে এবং পূর্বের নিফাকিতে অবিচল ও অটল থাকে।

১২. মিথ্যাবাদী
মুনাফিকরা মিথ্যাবাদী হয়। তারা আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (স.) সম্পর্কে মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মুনাফিকরা অবশ্যই মিথ্যাবাদী।’ (সুরা মুনাফিকুন: ১)

১৩. আল্লাহর পথে বাধা সৃষ্টিকারী
মুনাফিকরা মানুষদের আল্লাহর দিকে আসতে দেয় না। নানাভাবে বাধা সৃষ্টি করে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘তারা আল্লাহর পথে বাধা সৃষ্টি করে। তারা যা করছে, তা খুবই মন্দ।’ (সুরা মুনাফিকুন: ২)

১৪. অহংকারী
মুনাফিকরা অহংকারী ও দাম্ভিক। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘আপনি তাদের দেখবেন যে তারা অহংকার করে মুখ ফিরিয়ে নেয়।’ (সুরা মুনাফিকুন: ৬)

১৫. প্রতারক
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘অবশ্যই মুনাফিকরা আল্লাহর সঙ্গে প্রতারণা করছে, অথচ তারা নিজেরাই নিজেদের প্রতারিত করে। বস্তুত তারা যখন নামাজে দাঁড়ায় তখন একান্ত শিথিলভাবে লোকদেখানোর জন্য দাঁড়ায়। তারা আল্লাহকে অল্পই স্মরণ করে। এরা দোদুল্যমান অবস্থায় ঝুলন্ত; এদিকেও নয়, ওদিকেও নয়।’ (সুরা নিসা: ১৪৩-১৪৪)

মুনাফিকদের আরো অসংখ্য বৈশিষ্ট্য ও চারিত্রিক দোষ-ত্রুটি কোরআন ও হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে। আল্লাহ তাআলা আমাদের এসব থেকে হেফাজত করুন। আমিন

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments