Free Porn
xbporn

https://www.bangspankxxx.com
Tuesday, September 17, 2024
HomeScrolling‘পাপুলের সঙ্গে আরেক বাংলাদেশি এমপি জড়িত’

‘পাপুলের সঙ্গে আরেক বাংলাদেশি এমপি জড়িত’

অর্থ ও মানবপাচারের অভিযোগে কুয়েতে গ্রেপ্তার হওয়া লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী সহিদ ইসলাম পাপুলের সহযোগীর সংখ্যা দিন-দিন বাড়ছে। তার সঙ্গে আরেক বাংলাদেশি এমপির যোগসূত্র আছে। পাপুলের স্বীকারোক্তি মতে এবার ঘুষ গ্রহণের কৌশল বাতলে দেয়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কর্মরত দেশটির একজন সামরিক অফিসারসহ ৩ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে আদালতে তলব করা হয়েছে। কুয়েতের ইংরেজি দৈনিক আরব টাইমস এবং আরবি দৈনিক আল-কাবাসে পাপুলকাণ্ডের ফলোআপ রিপোর্টে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।

তদন্ত কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে খবরে বলা হয়েছে, পাপুলসহ মোট তিন সদস্যের একটি বাংলাদেশি চক্র এসব ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। বাকি দুজনের নাম প্রকাশ না করে সংবাদমাধ্যমটির দাবি, গ্রেপ্তার হওয়া এমপির সঙ্গে আরেক বাংলাদেশি এমপির যোগসূত্র আছে। এমপির স্ত্রীও এসব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত। প্রতিবেদনে তাকে সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি হিসেবে পরিচয় করানো হয়েছে।

এই নারী এমপি পাপুলেরই স্ত্রী হতে পারেন। কারণ এর আগে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, স্ত্রী সেলিনা (তিনিও সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি) এবং তার কুয়েতে চারটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রতিবেদনের ভাষায়, ‘এই তিনজন তিনটি বড় কোম্পানির গুরুত্বপূর্ণ পদে আছেন। তারা বড় অঙ্কের (আনুমানিক ১৬৩ মিলিয়ন ডলার) ঘুষের বিনিময়ে ২০ হাজার শ্রমিককে বিদেশে পাঠিয়েছেন।’

পাপুলকাণ্ড উন্মোচনকারী আল কাবাসের প্রতিবেদনে বাড়তি তথ্য ছিল পাপুলের সহযোগী স্বরাষ্ট্রে কর্মরত কর্ণেল, জনশক্তি ডিপার্টমেন্টের দুই পরিচালক ছাড়াও একজন নারী ব্যবসায়ীকে কাল আদালতে জেরা করা হয়েছে। তাদের বিষয়ে বিস্তৃত তদন্ত চলমান রয়েছে জানিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, পাপুল ইস্যুতে দেশি বিদেশি নতুন নতুন নামযুক্ত হচ্ছে এবং তা চাঞ্চল্য তৈরি করছে। বিশেষত ‘বাঙালি এমপি’র কেসটি কুয়েতের রাজনীতি ও প্রশাসনে বাড়তি উত্তাপ তৈরি করেছে। দিনে দিনে এটি যেনো কেবলই বিস্তৃত হচ্ছে। তবে আরব টাইমস বা আল-কাবাস কোনো রিপোর্টেই জেরার মুখে পড়া কর্ণেলসহ অন্যদের নাম-পরিচয়ের বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়নি।

আল-কাবাসের প্রতিবেদনে বাংলাদেশি শ্রমিকদের বরাত দিয়ে পাপুলকে ‘মাফিয়া বসদের’ সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। শ্রমিকদের অভিযোগ, টাকা না দিলে নিম্ন আয়ের মানুষদের বিপদে ফেলতেন তিনি। পাপুল জিজ্ঞাসাবাদে অর্থ লেনদেনের কথা স্বীকার করেছেন। জানিয়েছেন, চেকের মাধ্যমে কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তাকে দিয়েছেন ৩.৫৮ মিলিয়ন ডলার। আরেক কর্মকর্তাকে ক্যাশ দিয়েছেন ৩.৩৫ মিলিয়ন ডলার।

পাপুলের রিমান্ডের শেষ দিনে একনাগাড়ে ৯ ঘন্টার জিজ্ঞাসাবাদের মুখে তিনি রাঘব-বোয়ালদের নাম বলেছেন। এর মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বড় কর্তাসহ দু্জন মধ্যস্থতাকারীকে মোটা অংকের ঘুষ দেয়ার কথা কবুল করেছিলেন। তাদের দেয়া ঘুষের পরিমাণ ও ডকুমেন্ট আগেই হাতে পেয়েছিল কুয়েত-সিআইডি। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছিল- পাপুলকাণ্ডে এ পর্যন্ত কুয়েতের সাবেক ও বর্তমান ৩ এমপি, স্বরাষ্ট্র ও জনশক্তি মন্ত্রণালয়ের ৭ শীর্ষ কর্তা এবং ৩টি সংস্থায় কর্মরত অন্তত ২১ জন কর্মকর্তার সম্পৃক্ততার তথ্য পেয়েছে কুয়েত-সিআইডি। এদের কারও নাম প্রকাশ হয়নি। কিন্তু অ্যাকশন শুরু হয়ে গেছে।

পাপুলের স্বীকারোক্তিতে লাক্সারি কারসহ দামী উপহার গ্রহণকারীদের সঙ্গে সংযুক্ত কুয়েতের যে ৩ জন কর্মকর্তাকে তলব ও জেরা করা হয়েছে তাদের মধ্যে সদ্য সাসপেন্ড হওয়া জনশক্তি বিভাগের উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তাও রয়েছেন। রিমান্ডে পাপুল তার সহযোগী ও বেনিফিশিয়ারি যাদের নাম বলেছেন তা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ না পেলেও নানাভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা চলে এসেছে। এসবের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। তবে ইঙ্গিতপূর্ণ ওই সব তথ্য নিয়ে খোদ কুয়েতি পার্লমেন্টে আলোচনা হয়েছে। পাপুলকে বাঁচাতে অনৈতিক সুবিধা নেয়ার দায়ে অভিযুক্ত সংসদের বর্তমান দুইজন এমপি সদ্য সমাপ্ত অধিবেশনে যোগ দিয়ে এ ইস্যুতে কথা বলেছেন। তারা নিজে থেকেই পাপুলকাণ্ডে তাদের নাম আসার বিষয়ে স্পিকারকে অবহিত করে এবং সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিপক্ষ পরিকল্পিতভাবে তাদের নামে প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে দাবি করে পাপুলের কাছ থেকে কোন ধরণের অন্যায় সুবিধা নেয়ার দায় অস্বীকার করেছেন। সেদিন সংসদে পাপুলকাণ্ডে অন্তত ৬ জন এমপি কথা বলেন।

তাদের বক্তব্য, তীর্যক মন্তব্য এবং বিবৃতির নোটিশ প্রদানের প্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা কুয়েতের উপ-প্রধানমন্ত্রী আনাস আল সালেহ সংসদে বিবৃতি দিতে বাধ্য হন। তিনি তার তার বক্তৃতায় পাপুলের নাম মুখে না নিয়ে ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ভিসা বাণিজ্যে রাষ্ট্র হিসাবে কুয়েতের নিরাপত্তা বা অস্তিত্ব আজ হুমকির মুখে। যাদের নাম এসেছে তাদের বিষয়ে বিস্তৃত এবং পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হচ্ছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তারা রেহাই পাবে না। এমপি, মন্ত্রী বিশিষ্টজন হলেও তাদের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।

প্রসঙ্গত, কুয়েতের ইতিহাসে মানবপাচার বিষয়ক সর্ব বৃহৎ এবং চাঞ্চল্যকর ওই মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশি এমপি কাজী পাপুলকে কারাগারে থাকতে হচ্ছে। তবে তার সহযোগী যারা আটক হয়েছেন জুলাই’র মাঝামাঝিতে তাদের বিষয়ে শুনানী হতে পারে বলে আভাস মিলেছে। জানা গেছে এমপি পাপুল ইস্যুতে কুয়েত সিটিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের শীর্ষ পর্যায়ের দু্থজন কর্মকর্তাকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। তাদের ব্যাংক একাউন্ট তালাশ করা হচ্ছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদও করা হতে পারে। তবে ডিপ্লোমেটিক ইমিউনিটিপ্রাপ্ত ওই দুই বাংলাদেশিকে জিজ্ঞাসাবাদ না ঢাকা ফেরত পাঠানো হবে তা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে।

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments