ঈদের ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ নেই শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে। বন্যার পানির স্রোত আর করোনার প্রভাবে দেশের অন্যতম এই নৌরুটে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
তবে ফেরি চলাচল ব্যাহত হওয়ায় ঘাট এলাকায় পণ্যবাহী পরিবহনের চাপ রয়েছে। দুই ঘাটে আটকে পড়েছে অন্তত শতাধিক পণ্যবাহী পরিবহন। কাঁচা মালামাল আর পশুবাহী পরিবহন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পদ্মা নদী পার করা হচ্ছে।
ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, গত কয়েকদিন ধরে বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পদ্মা নদীতে ৭২ সেন্টিমিটার বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটের লৌহজং চ্যানেলে ঘূর্ণিমান স্রোত আর অসংখ্য ডুবোচরের কারণে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
ফলে এই ঘাট দিয়ে ছোট বড় ৯টি ফেরি চলাচল করছে। ঘাট এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে পণ্যবাহী পরিবহনের চাপ। তবে যাত্রীবাহী পরিবহনের খুব একটা চাপ নেই। ব্যক্তিগত পরিবহনও কিছুটা রয়েছে। ঈদ আসন্ন হলেও ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ নেই বললেই চলে।
বর্তমানে এই নৌরুট দিয়ে ছোট বড় ৯টি ফেরি, ৫৬টি লঞ্চ ও দেড় শতাধিক স্পিডবোট চলাচল করছে। রাতে সব ধরনের নৌপরিবহন বন্ধ থাকে। কাঁঠালবাড়ী ঘাটে চারটি পল্টুনের মধ্যে দুটি সচল রয়েছে। বাকি দুটো পানি উঠায় বিকল হয়ে আছে।
অন্যদিকে লঞ্চ ও স্পিডবোট ঘাটের প্রবেশপথে পানি উঠেছে। তবে তা মেরামত করে কোনো রকম চলাচল করছে।
বিআইডব্লিউটিএ মাদারীপুর কাঁঠালবাড়ী ঘাট ম্যানেজার আব্দুল আলিম বলেন, আমরা রাতে ফেরি বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছি। তবে সকাল হওয়ার আগেই আবার ফেরি চালু করছি। তবে গতকাল থেকে ৯টি ফেরি চালানো যাচ্ছে। ছোট গাড়ি নেই বললেই চলে তবে কিছু বড় গাড়ি ফেরি অপেক্ষায় রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ মাদারীপুর কাঁঠালবাড়ী ঘাট পরিবহন পরিদর্শক আক্তার হোসেন জানান, অতিরিক্ত যাত্রী বহনকারীদের আমরা জরিমানা ও মামলা দিচ্ছি। তাছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছে তারাও কোনো অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিচ্ছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক- মেহেদী হাসান
Copyright © 2024 Livenews24. All rights reserved.