নেত্রকোনার মদন উপজেলায় ট্রলারে বসাকে কেন্দ্র করে দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে প্রায় অর্ধ শতাধিক আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
শনিবার দুপুরে উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নের বাশরি বাজারের পাশে পানিতে নেমে নায়েকপুর ও বাশরি গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে এক মুখোমুখি সংঘর্ষ শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সংঘর্ষে আহত শরীফ মিয়াকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যান্যদের মধ্যে রুবেল, আশরাফুল, সুমন, নয়ন, এরশাদ, ইমরান, মোতাহার হোসেন, টিটু মদন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বাকি আহতরা স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিয়েছে বলে জানা যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত সপ্তাহের রবিবার নায়েকপুর গ্রামের কাসেম মিয়ার সাথে ট্রলারে বসাকে কেন্দ্র করে বাশরি গ্রামের জালাল মিয়ার সাথে তর্কবিতর্ক হয়। এতে সবুজ মিয়া বাদী হয়ে ওই দিন বাশরি গ্রামের জালালকে প্রধান আসামি করে ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে মদন থানায় চুরির মামলা দায়ের করে। এরই জের ধরে আজ দুপুরে বাশরি বাজারের পাশে পানিতে নেমে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘটনার পর থেকে দুই গ্রামের বাসিন্দার মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
নায়েকপুর ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান রোমান জানান, ঈদের পরের দিন নায়েকপুর গ্রামের কাসেমের সাথে বাশরি গ্রামের জালালের তর্কবিতর্ক হয়। এরই প্রেক্ষিতে আজ দুই গ্রামের লোকজন সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে বলে তিনি জানান।
মদন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ফারজানা অলিজা বলেন, সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যদেরকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে মদন থানার ওসি মো. রমিজুল হক দেশ রূপান্তরকে জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।