Free Porn
xbporn

https://www.bangspankxxx.com
Friday, September 20, 2024
HomeScrollingসড়ক দুর্ঘটনা কমাতে আদালতের ৪ পর্যবেক্ষণ

সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে আদালতের ৪ পর্যবেক্ষণ

সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে আদালত চারটি পর্যবেক্ষণ দিয়েছে। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সাইদুর রহমান পায়েল হত্যা মামলার রায়ে আদালত তাদের প্রথম পর্যবেক্ষণে বলে, গাড়ি চালাতে দেওয়ার আগে চালক, সুপারভাইজার এবং চালকের সহকারী মাদক গ্রহণ করেছেন কি না, সে জন্য তাদের প্রত্যেককেই ডোপ টেস্ট করাতে হবে।

দ্বিতীয় পর্যবেক্ষণে বলা হয় গাড়ির চালক, সুপারভাইজার এবং চালকের সহকারীরা প্রায় যাত্রীদের সঙ্গে কর্কশ ও অভদ্র আচরণ করেন। গাড়ির চালক সুপারভাইজার এবং চালকের সহকারী অবশ্যই যাত্রীদের সঙ্গে নম্র ও ভদ্র আচরণ করতে হবে। চালকসহ অন্যদের গাড়ি চালানোর বিষয় এবং যাত্রীদের সঙ্গে আচরণসংক্রান্ত কাউন্সেলিং বিষয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।

আদালতের তৃতীয় পর্যবেক্ষণটি হলো, মহাসড়কের প্রতি তিন কিলোমিটার পরপর গাড়ির চালক চালকের সহকারী এবং সুপারভাইজার এবং যাত্রী সাধারণের জন্য প্রয়োজনীয়সংখ্যক আধুনিক বাথরুম স্থাপন করতে হবে। এ জন্য বাসমালিকদের সরকারের সড়ক বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের নির্ধারিত হারে মাসিক চাঁদা প্রদান করতে হবে।

আদালতের দেওয়া চতুর্থ পর্যবেক্ষণে বলা হয়, ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার (সিসি ক্যামেরা) মাধ্যমে মহাসড়কে যান চলাচলের ওপর মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সাইদুর রহমান পায়েল হত্যা মামলায় হানিফ পরিবহনের এক বাসচালক, তার সহকারী ও সুপারভাইজারকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।

রবিবার ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি হলেন হানিফ পরিবহনের বাসচালক জামাল হোসেন, তার সহকারী ও ভাই ফয়সাল হোসেন এবং সুপারভাইজার জনি।

পায়েল হত্যাকাণ্ডের মোটিভ সম্পর্কে আদালত বলে, পরস্পর যোগসাজশে আসামিরা পায়েলকে আঘাতের পর  লাশ গুম করার জন্য ভাটেরচর সেতু থেকে ফুলদী নদীতে ফেলে দেন। গোপন তদন্তে প্রকাশ পায় যে তখনো পায়েল বেঁচে ছিলেন।

২০১৮ সালের ২১ জুলাই রাতে দুই বন্ধু আকিবুর রহমান আদর ও মহিউদ্দিনের সঙ্গে হানিফ পরিবহনের একটি বাসে করে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আসার পথে নিখোঁজ হন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাইদুর রহমান পায়েল।

পরে ২৩ জুলাই মুন্সিগঞ্জ উপজেলার ভাটেরচর সেতুর নিচের খাল থেকে পায়েলের লাশ উদ্ধার করে গজারিয়া থানা পুলিশ।

আদালতে আসামিদের জবানবন্দির বরাতে পুলিশ জানায়, গজারিয়া এলাকায় গাড়ি যানজটে পড়ায় প্রসাব করার কথা বলে বাস থেকে নেমেছিলেন পায়েল। বাস চলতে শুরু করলে তিনি দৌড়ে এসে ওঠার সময় দরজার সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে সংজ্ঞা হারান।

এ সময় নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বের হতে দেখে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার বদলে দায় এড়াতে ভাটেরচর সেতু থেকে নিচের খালে ফেলে বাস নিয়ে ঢাকায় চলে আসেন চালক ও সুপারভাইজার।

পায়েলকে অচেতন অবস্থায় সেতু থেকে খালে ফেলে দেওয়ার আগে তার পরিচয় গোপন করতে বাসচালক মুখ থেঁতলে দিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ তার পরিবারের।

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ পঞ্চম সেমিস্টারের ছাত্র পায়েলের বাসা চট্টগ্রামের হালিশহর সিডিএ আবাসিক এলাকায়। তার বাবা গোলাম মাওলা ও বড় ভাই গোলাম মোস্তফা কাতার প্রবাসী।

পায়েলের মৃত্যুর পর তার মামা গোলাম সরোয়ার্দী বিপ্লব বাদী হয়ে চালক জামাল হোসেন, তার সহকারী ফয়সাল ও সুপারভাইজার জনিকে আসামি করে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলে, ‘সড়ক দুর্ঘটনা দিন দিন হত্যাপর্যায়ে চলে যাচ্ছে, যা বলা বোধ হয় ভুল নয়। অদক্ষ গাড়িচালক, বেপরোয়াভাবে বাস চালানো, গাড়ি চলাচলের অযোগ্য রাস্তা ও ফিটনেসবিহীন গাড়ির কারণে এই দুর্ঘটনা বেশি ঘটছে। সড়কে প্রতিদিন এত মানুষের মৃত্যু নিছক দুর্ঘটনা, নাকি হত্যা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সর্বসাধারণের মনে।’

সাম্প্রতিক সময়ের আলোচিত সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের পরিসংখ্যান তুলে ধরে আদালত বলেছেন, ‘তাহলে আর কবে আমরা সজাগ হব। সড়কে মৃত্যু আমাদের জন্য যদি সচেতন না করে, তাহলে আর কবে সচেতন করবে? নিহত ছাত্র সাইদুর রহমান পায়েল মেধাবী ছাত্র ছিলেন। উচ্চশিক্ষা নিয়ে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে দেশ ও জাতির সেবায় আত্মনিয়োগের জন্য যখন নিজেকে তিনি প্রস্তুত করেছিলেন, সেই মুহূর্তে বাসচালক, সুপারভাইজার ও চালকের সহকারীর নির্মমতার শিকার হয়ে তাকে অকালেই প্রাণ দিতে হলো। তার মৃত্যুতে তার পরিবার হতাশায় নিমজ্জিত।’

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments